শাল্যে এতিমখানার বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা আত্মসাত
সহকারি পরিচালক রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত কাল
সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাশ্রয়ী তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল, ১৯ নভেম্বর বুধবার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আসা বিশেষ একটি টিম অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে।
তদন্তের বিষয়বস্তু অনুসারে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের শাল্যে অবস্থিত আবু জাফর সিদ্দিকীয়া এতিমখানার নামে সরকারি বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা ২০১১ সাল থেকে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে রোকনুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা সোনালী ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখার চেকের মাধ্যমে এই টাকা উত্তোলন করেন।
স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-২০১৯ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত ২,৪০,০০০ টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া, অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা গরুর জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রদানের নামে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হতো। অভিযোগ রয়েছে, এসব টাকার একটি অংশ রোকনুজ্জামানের মামা তৌহিদুজ্জামানের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হতো।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ এবং অভিযোগ সত্ত্বেও রোকনুজ্জামানকে কখনও জেলা বাইরে বদলী করা হয়নি। বরং ২০১৯ সালে তাকে সহকারি পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরায় স্বপদে বহাল আছেন এবং জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককেও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপে রাখছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবৈধ সম্পত্তির হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত রোকনুজ্জামানের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ সঞ্চিত হয়েছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রাসাদসম সাততলা ভবন, নতুন জমি এবং ব্যাংকে নগদ টাকা রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান মৃধা জানিয়েছেন, অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধান ও তদন্ত নিয়মমাফিক সম্পন্ন হবে। তবে রোকনুজ্জামান তদন্ত শুরুর আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

