মালয়েশিয়ার তরুণী, প্রেমের টানে বাংলাদেশি প্রেমিকের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে এসেছেন সঙ্গে আছে তার মা ও।
তরুণীর নাম সিটি হাসনা (৩২)। মালয়েশিয়ার একটি শহরের মশিন জাকরির মেয়ে তিনি। তার প্রেমিকের নাম মোঃ আনিছ রহমান। গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের পুত্র তিনি। ৪ জানুয়ারি শনিবার সকালে খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে আসেন মালয়েশিয়ান তরুণী সিটি হাসনা। এর আগে ঢাকা শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দরে হাসনা ও তার মাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান আনিছ ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে তাকে তাদের গ্রামের খুবজিপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সেখানেই তারা অবস্থান করছেন। আজ ০৫ জানুয়ারি রোববার নাটোর আদালতে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে এবং বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে মালয়েশিয়ার তরুণী আসার খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আনিছের বাড়িতে ওই তরুণীকে দেখতে প্রতিবেশিসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন । শনিবার রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান (মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্যে নাটোরে এসেছেন, তা যেন সফল হয়। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যান আনিছ রহমান। সেখানে সিটি হাসনার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতায় কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে দেরি হয়েছে। কিন্তু প্রেমের টানে মাঝেমধ্যে আনিছ মালয়েশিয়ায় ঠিকই যেতেন। এভাবে তাদের মধ্যে সর্ম্পক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ভালোবাসার পরিণতি দিতে বাংলাদেশে আনিছের বাড়িতে চলে আসেন হাসনা। সাথে তার মাকেও নিয়ে আসেন। আনিছের ছোট ভাই মো. হক সাহেব জানান, পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। তার ভাই ওই প্রেমের সর্ম্পকের জন্য এতো বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন, কোনো বিয়ে করেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তিনি বিয়ে করেননি বরং ভিনদেশি মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই পারিবারিক সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ১৪ বছর পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি জানান, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খুশি। দীর্ঘ দিন প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন, এটা অনেকটাই গৌরবের এবং আনন্দের। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। তারা দুজন যেন সুখে থাকেন।
