• আজ- রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

শিশু

এম জে মেহেদী হাসান / ২৮০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

add 1
  • এম জে মেহেদী হাসান

শিশুরা হচ্ছে আপনার এবং আপনার পরিবেশের প্রতীক ছবি। যেমন আয়নার মাঝে তাকালে বুঝা যায় আপনার শরীরের কি অবস্থা আছে আপনার চুল, পোশাক, ইত্যাদি ঠিক তেমনি শিশু টির দিকে তাকালে বুঝা যায় আপনি এবং আপনার পরিবেশ কি অবস্থা আছে। যেমন ধরুন ছোট একটা বাচ্চা মাএ কথা বলতে শুরু করেছে তার সাথে যদি আপনি কথা গুলো সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেন সেও চেষ্টা করবে আপনার মত বলার। এবার আসি পরিবেশ। ঐ শিশু টি লক্ষ করবে পরিবারের পর পরিবেশের দিকে তার চার পাশে মানুষ গুলো কিভাবে চলাচল করে। তার চার পাশে মানুষ গুলো যদি নম্র ভদ্র থাকে এবং পাশাপাশি ধর্মকে অনুসরণ করে সেও চেষ্টা করে তাদের মত চলাচল বিশেষ করে তার বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ। কারণ ছোট অবস্থা এটাই তার প্রধান শিক্ষা অর্জন স্থান। শিক্ষা এক প্রকারে নয় শিক্ষা বহু প্রকারে আছে তার মাঝে খুব গুরত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিবার এবং পরিবেশ গত শিক্ষা।

উদাহরণ সরূপ :- দুইটি পরিবারের দুইটি শিশু জন্ম গ্রহন করেন। দুই জনের বয়স সমান সমান । তারা দুই জন নতুন হাঁটা এবং কথা বলতে শিখেছে।
-প্রথম পরিবারের শিশু টার নাম হচ্ছে মুনতাসীর। তার সাথে তার বাবা, মা ও ভাই খুবই সুন্দর করে কথা বলে। কারণ তার পরিবারের সকালে মোটামুটি শিক্ষিত তাই শিশু টা ও চেষ্টা করে তারা যেভাবে চলে সে ভাবে চলার। তারা যেভাবে কথা বলে সে ভাবে বলার। যখন সন্ধা হয় শিশু টার মা মানে মুনতাসীর আম্মু সুন্দর ভাবে ডাক দিয়ে কাছে এনে বলে বাবা সন্ধা হয়ে পড়তে হবে। তখন মুনতাসীর নানা ভাবে বায়না করে না আম্মু আমি পড়তে বসবো না । তার আম্মু বলে বাবা বসে হবে তাহলে না বড় হবে। ভাইয়া দের মত দেখ না ভাইয়ারা পড়তে বসেছে । তাহলে না শিক্ষিত হয়ে মানুষের মত মানুষ হবে পরিবার মুখ উজ্জ্বল করবে। এই কথা গুলো শুনে শিশু টা চুপ হয়ে থাকে এবং ছোট একটা স্বপন দেখে সে পড়া শুনা করে বড় হবে। তখন কেউ একজন যদি শিশু টাকে জিজ্ঞেস করে বাবা তুমি পড়া লেখা করে কি করবে..? শিশু টা উওর দেয় আমি পড়া লেখা করে বড় এবং শিক্ষিত হবো কে বলেছে..? তখন শিশু টা উওর দেয় আম্মু বলেছে। তার মানে একটি শিশু সর্বো প্রথম স্বপন দেখতে শুধু করে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তার “মা” কাছ থেকে..।

-অন্য দিকে আরেকটা শিশু নাম” হাসান ” তার পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য একটু উদাসিনতা টাইপের তার সাথে তেমন একটা ভালো ব্যবহার করতে না। তার বাবা, মা, ভাই তারা তেমন শিক্ষিত না। তার “মা ” একটা কোম্পানিতে সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করে। বাবা রিকশা চালায়, আর তার ভাই গাড়ি মেকানিক্সের কাজ করে। তাই শিশু তেমন আদর স্নেহ পাই না। সবাই রাগান্বিত সুরে কথা বলে। একটা সময় দেখা যায় শিশু টার ব্যবহার তাদের মতোই। সন্ধা হলে তাকে কেউ পড়া জন্য আদেশ দেয় না তাই শিশু টা স্বপন কি সেটাও জানে না । ধীরে ধীরে শিশু টা এভাবে বড় হতে থাকে আর তার ভাব না চিন্তা তার বাবা মা ভাই যে ভাবে জীবন কে অতিবাহিত করছে সে ও এভাবে করবে…!

শিক্ষা :- পৃথিবীতে একটি শিশু জন্ম দেওয়া যতটা সহজ তার চেয়ে হাজার গুণে কঠিন একটা শিশু কে মানুষের মত মানুষ করা। উপরে প্রথম ঘটনা থেকে বুঝা গেল শিশু দের সাথে সুন্দর ব্যবহার, সুন্দর পরিবেশ একটা শিশুকে ভালো এবং সুন্দর স্বপন দেখতে সহযোগিতা করে। অন্য দিকে ২য় ঘটনা থেকে বুঝা গেল শিশু সাথে খারাপ ব্যবহার এবং আদর, স্নেহ, ও ভালো পরিবেশ, শিক্ষা অভাবে স্বপন এবং সফল সম্পকে শিশু টা উদাসীন..।
তাই প্রত্যেক বাবা, মার উচিত শিশু দের প্রতি সচেতন হওয়া। কারণ একটা শিশু আগামী দিনের সুন্দর পরিবার গঠন ও সমাজ কে নতুন রূপ দেওয়ার মাধ্যম..।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (সন্ধ্যা ৬:৩৪)
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৯ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬
  • ৭ পৌষ, ১৪৩১ (শীতকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT