কর্মক্ষেত্রে সবাইকে তেল না দিয়ে সফল হওয়ার ৫টি কৌশল
নিজের কাজের মাধ্যমে সম্মান ও মূল্য তৈরি করা সম্ভব
অনেকের ধারণা, কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে হলে সব সময় বস ও সহকর্মীদের পছন্দ অনুযায়ী চলতে হবে—অথবা “তেল দিতে হবে।” তবে ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি স্বল্পমেয়াদে সুবিধা দিলেও দীর্ঘমেয়াদে আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ভালো খবর হলো, এই সংস্কৃতির মধ্যে আটকে না থেকে নিজের কাজের মাধ্যমে সম্মান ও মূল্য তৈরি করা সম্ভব।

১. কৌশলগতভাবে “না” বলতে শিখুন
-
কাজকে না বলুন, মানুষকে নয়।
-
সংক্ষিপ্ত ও সৎ ব্যাখ্যা দিন: “আমি এখন রিপোর্টে ব্যস্ত, তাই প্রজেক্টে যথেষ্ট মনোযোগ দিতে পারব না।”
-
বিকল্প প্রস্তাব দিন বা সময় পরে নির্ধারণ করুন।
২. অগ্রাধিকার নির্ধারণে পেশাদার হন
-
অতিরিক্ত কাজ মানের ক্ষতি করে।
-
আইজেনহাওয়ার ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করুন: জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু জরুরি নয়, জরুরি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়, না জরুরি না গুরুত্বপূর্ণ।
-
সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিন।
৩. অযাচিত প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করুন
-
সহকর্মীরা আপনার সীমা জানবে না, অতিরিক্ত চাপ দেবে।
-
নিয়মিত কাজের অগ্রগতি শেয়ার করুন।
-
ইমেইল বা যোগাযোগের সময় ঠিক করুন।
৪. অন্যদের নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে দিন
-
সবসময় সমস্যা সমাধানে লাফ দেওয়া বন্ধ করুন।
-
কঠিন পরিস্থিতিতে স্বচ্ছন্দ থাকুন।
-
পালটা প্রশ্ন করুন: “আপনারা কি মনে করেন আমরা এটা কীভাবে সমাধান করতে পারি?”
-
সহকর্মীদের ভুল থেকে বাঁচাতে না গিয়ে তাদের দায়িত্ববোধ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ান।
৫. আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান গড়ে তুলুন
-
নিজের মূল্য ও দক্ষতার প্রতি সচেতন থাকুন।
-
পেশাগত লক্ষ্য ও সীমারেখা স্পষ্ট করুন।
-
সহায়ক মেন্টর বা সহকর্মী খুঁজুন, কিন্তু সর্বাধিক নির্ভর করুন নিজের উপর।
কর্মক্ষেত্রে সবাইকে “তেল দেওয়া” এখন বাধ্যতামূলক নয়। স্পষ্ট সীমারেখা, অগ্রাধিকার নির্ধারণ, কার্যকর যোগাযোগ ও আত্মসম্মান বজায় রেখে মানসম্পন্ন কাজের মাধ্যমে সম্মান অর্জন সম্ভব।
