শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবনের পাড়ঘেঁষা এলাকায় সফটশেল কাঁকড়ার চাষ নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। চিংড়ির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় এই নরম খোসার কাঁকড়া এখন এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি হচ্ছে। স্থানীয় খামারগুলোতে প্রতিদিন ২০–২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন, যার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।
কলবাড়ী গ্রামের সেলিম হোসেন জেলে থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে রূপান্তরিত হয়ে খামার পরিচালনা করছেন। বর্তমানে শ্যামনগরে ৩৬৪ জন চাষি ৩২১ হেক্টর জমিতে চাষ করছেন, বছরে উৎপাদন ৩,৬০০ মেট্রিক টন কাঁকড়া। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই শিল্পে বাণিজ্যিক খামারগুলো বছরে প্রায় ২ হাজার টন কাঁকড়া উৎপাদন করছে এবং ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, স্থানীয় হ্যাচারি স্থাপন হলে চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে এবং বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাবে। সফটশেল কাঁকড়া চাষ শ্যামনগরের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ