সাতক্ষীরার শ্যামনরে ভূমি মালিকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ নিজেদের স্বত্ত্ব দখলীয় পৈত্রিক জমিতে গড়ে উঠা চিংড়িঘের জবর দখল ষড়যন্ত্রের প্রতিকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন একদল ভুমি মালিক। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপকুলবর্তী মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ শতাধিক ভুমি মালিকের পক্ষে আব্দুল হালিম লিখিতভাবে গত ২৬ জুলাই দলটির শীর্ষ এ নেতার নিকট এমন আবেদন জানান। আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ বন বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমানসহ বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারা লোকজন নিয়ে তাদের জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো আবেদন পত্রে দখল আতংকে থাকা এসিকল ভুমি মালিক নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে জানান অতিশয় দরিদ্র হওয়ায় ভয় ভীতি প্রদর্শনের পাশাপাশি মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। একই সাথে তারা অভিযোগ করেন ‘বিএনপিপন্থী’ সাবেক সচিব পরিচয়ে জনৈক সাইদুর রহমান তাদের পৈত্রিক জমিতে গড়ে ওঠা ১২শত বিঘা আয়তনের শাওন ফিস নামীয় চিংড়ি ঘের দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সেজন্য কয়েকদিন আগে শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম আবুকে ‘ইনচার্জ’ নিযুক্ত করেছেন। আবেদনপত্রে ভুমি মালিকরা দাবি করেন তাদের অনেকে ১০/১২ শতাংশ জমিরও মালিক। কেউ বা ৩০/৪০ বিঘা জমির পর্যন্ত মালিক। ইতোপুর্বে তারা  আব্দুস সাত্তার মোড়লের নিকট এসব জমি ইজারা বা ডিড দিয়েছিলেন। তবে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে গত ২০২০ সালে সাইদুর রহমানের কাছে আব্দুস সাত্তার উক্ত জমিসহ চিংড়িঘের সাব-ডিড দেন। কিন্তু আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুর পর থেকে সাইদুর জমির হারি বা ইজারা মুল্য পরিশোধ না করে নানাভাবে ঠকিয়েছে। ইতিমধ্যে ২০২৫ সালের ৩০ জুন ডিড বা ইজারার মেয়াদ শেষে তারা নিজেদের জমি তারা সালাহ উদ্দীন শাওনকে ডিড বা ইজারা দিয়েছেন। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাইদুর রহমান নিজেকে বিএনপিপন্থী সাবেক সচিব দাবি করে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুর রহমান আমিন,  আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম আবুকে ব্যবহার করে উক্ত জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ৩ কোটি টাকা চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে পরপর ৩ টি মামলা করে আমাদের হয়রানি শুরু করেছে। আতঙ্কগ্রস্থ ভুমি মালিকরা অভিযোগ করেন গত ৬/৭ দিন পূর্বে সোনার মোড় এলাকার জনৈক আদম আলীর মাছের আড়ত থেকে তাদের চিংড়িঘেরে বিক্রয়কৃত মাছের টাকা এক লাখ ২৩ হাজার টাকাও সাইদুরের লোকজন ছিনিয়ে নিয়েছে। এমতাবস্থায় নিজেদের জমির দখল নিয়ে শংকায় থাকার কথা উল্লেখ করে উক্ত আবেদনপত্রের প্রেক্ষিতে অভিযোগের যত তদন্ত পূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান উস্থিত ভূমি মালিকরা।

- Advertisement -

এই বিভাগের আরও সংবাদ