শেষ রাত্রি যাপন হচ্ছে। আকাশ কালো। একটু-একটু বাতাস বইছে। সিয়াম ওজু করে তার চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী বারান্দায় রাখা মায়ের ওড়নায় এসে হাত-মুখ মুছে, প্রশান্তির নি:শ্বাস নিচ্ছে। তাদের বারান্দার পাশেই একটি আম গাছ। বাতাসে ছোঁয়ায় গাছের পাতাগুলো ঝিরি-ঝিরি তান তুলেছে। আম গাছের পাতাগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়েই সে হাত-মুখ মুছেছিলো। খানিক পরেই আকাশের দিকে তাকালো সে। আকাশ আজ প্রশান্তিদায়ক আলো মেখেছে। যেনো প্রশান্তির ছোঁয়াছুঁয়িতে পূর্ণ নরম আলো। মহান মাস রমযানের পরশ পেয়েই হয়তো, আজ আকাশে লেপ্টে থাকা আলোটা পর্যন্ত প্রশান্তিদায়ক। ‘প্রশান্তিদায়ক আলো’ বলতে—যে আলোর ছোঁয়ায় দিলেও প্রশান্তির ঢেউ আসে। সেই আলোয় হৃদয়কে রাঙিন করতেই হয়তো সিয়াম আকাশ পানে তাকিয়ে আছে।
বারান্দা থেকে ঘরে আসলো সিয়াম। আজ সে ভীষণ খুশি। তার হারানো দিনগুলোর সবচে’ প্রিয় একটা মুহূর্তে সে এখন অবস্থান করছে। আজ সে রবকে ডাকবে খুব করে। তার সবচে’ প্রিয় সময়টাতে সে রবের কুদরতী পায়ে পড়ে কাঁদবে। পাপী-কলুষিত দিলটাকে সে নিষ্পাপ দিলের রূপ দিবে। তাই দাঁড়ালো সিয়াম সালাতে। রাত্রির শ্রেষ্ঠ ভাগের সালাতে। যে সালাত রবকে পাওয়ার সবচে’ সহজ মাধ্যম। যে সালাত রবের খুউব আপন হওয়ার খুব নিরপদ পথ।