প্রকৃতির সান্নিধ্য হতে বহুদূরে,
শহুরে জীবন অনেকটা রোবটিক।
ঋতুর পালাবদল অনেকটা নিরবে,
বনতলের স্থানে গগনচুম্বী ইমারত।
শহুরে শরৎ পথে হাঁটতে গিয়ে মনে হবে,
ভেঁজা ভেঁজা প্রকৃতি কেমন লাজুক!
জানালার ফাঁক গলিয়ে চোঁখে পড়বে,
গাঢ় নীলের কোলে শুভ্র মেঘের পালক।
অন্তর অনুভূতিতে সতেজতার ছাপ,
হঠাৎ করেই মন হয়ে উঠবে ভাবুক।
অন্তর মৃদঙ্গ গেয়ে শোনাবে গুনগুন,
অলক্ষ্যে বলে উঠবে এসেছে শরৎ।
মন কেমন করা বিকেলে ইচ্ছে হবে
ঘুরে আসি নদীতটে,যেথা ফুটে আছে
গুচ্ছ গুচ্ছ কাশ;হাঁসুলী ঘরনা ভরপুর;
মোহনায় মিশে আছে জোড়া নদীর বাঁক।
নীল শাড়ী পরে ক্যামেরা বন্দী হবে নারী,
প্রিয়জনকে বলতে শোনা যাবে দু’একটা
সেলফি হয়ে যাক;শরৎ পরশে মাঝ বয়সী
লোকটাও উর্বর যৌবনের আদর্শ প্রেমিক।
ছেঁড়া নীলাকাশ কাশফুলের সাথে ছবি জুড়ে
নিজেকে মনে হবে প্রকৃতি প্রেমিক;
ঋতু পরিবর্তনে থামবে লাইকার কমেন্টেটর,
কেউ কেউ বলবে শরৎ চলে গেছে বোধহয়!