আষাঢ় এখন রুক্ষতার ফাঁদে
মরিচিকার মায়া জাল বুঁনে।
প্রকৃতি ফিরিয়ে দেয়, যতটা তার বুকেতে আঘাত হানে।
প্রতিশোধের বান ডেকে যায় ধরণির বুকে।
রুদ্র বৈশাখে।
মধুরতম মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে গেলে
হে বন্ধু, রাগে-অনুরাগে।
দেখা হবে জোনাক জ্বলা রাতে
ঘন দেয়া বরষাতে।
দেখা হবে তোমাতে আমাতে-
যদি স্মরনের বাতায়ন খুলে
আসো মন ভেজাতে মনেরই বরষাতে।
যদি আসো নীলাকাশ ছেয়ে রংধনূ হয়ে
আমি অনন্তকাল থাকবো তোমারই হয়ে।
যদি আসো শরতের মেঘে মেঘে ভেসে
আমি থাকবো তোমারই প্রতিক্ষার আশে
যদি আসো শঙ্খচিলের ডানায় ভর করে
দেখা হবে বুনোহাঁসের নীড়ে পদ্ম সরোবরে।
যদি আসো ফাগুন রাগে কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায়
দেখা হবে ভরা বসন্তের আঙিনায়।
যদি আসো অনঙ্গ জোছনায়-
খোলা অঙ্গে খোলা বসনে-
শুভ্র হাসির বৃষ্টি ভেজা দোলনচাঁপার আঙিনায়।
দেখা হবে না দেখার মাঝে নয়নে নয়নে।
নাইবা থাকুক আকাশে আষাঢ়ে মেঘের ঘনঘটা
নাইবা থাকুক তোমার আঁখি ছলছল-
নাইবা থাকুক কাঁজলা গাঁয়ের শ্যামলা মেয়ের গায়েতে দোপাট্টা।
নাইবা থাকুক সরোবরে পদ্মভাসা জল টলমল।
তবুও তুমি এসো এই বুনোপথে
তোমার জন্য জ্বালিয়ে রাখবো মোমের বাতি নিশীথ রাতে।