নয়ন জোরে দেখছি আমি অতসী অবিরাম,
মুগ্ধ আমি মুগ্ধ আমার ডান বাম।
পরক্ষণেই অতসী হারিয়ে গেলো ;
নয়নে ভাসে ছাই,
এদিক সেদিক চেয়ে দেখি অতসী কোথাও নাই৷
খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে আছি রোদে চারপাশ উত্তাপ-
ছায়ার রন্ধ্র কোথাও নাই।
অতসীকে ডাকলাম, আয় অতসী আয়-
অতসীর দেখা নাই,নাই সারা-শব্দ ;
পৃথিবী তো গ্রহ নয় যেনো রঙিন ছাইয়ের রন্ধ্র৷
হাহাকার করছে তপ্ত ছায়া- অতসী নাই ধারে,
অতসী এখন বন ছেরেছে হয়তো আছে বাসরঘরে
কিংবা মিশে আছে কিশোরীর কেশে।
রঙিন ছাই আসতে চায় আমার কাছে অতসীর ভেসে,
আমি তারে সরিয়ে সরিয়ে রাখি।
অতসীর অপেক্ষাতে থেকে থেকে আমি হয়েছি ম্রিয়মাণ ;
হঠাৎ দেখি পদ্মাজলে অতসীর লাশ ভাসমান।
পদ্মাজলে দিবো ঝাঁপ।
ছাইগুলো আমায় আকরে ধরতে চায়
আমি তারে সরিয়ে সরিয়ে রাখি;
হঠাৎ দেখি অতসীকে নিয়ে গেলো এক অচেনা উড়ন্ত পাখি৷
আমি শেষ বার তাকে ডাকি, অতসী!
সে তাকালো না ফিরে, বুঝলোনা অতসী
কি আছে আমার লুকিয়া থাকা নীরে।
কি আছে লোকান্তর আমার গভীরে।