ছলাৎ ছলাৎ বৃষ্টিজলে হাসে মেয়ে কুটিকুটি
বর্ষারাণী হাতছানি দেয় সুদূরে ওই একাকী;
চুলগুলো তার দীঘলকালো উরুউরু আষাঢ়ের মেঘ
বিজুলী নাচে বিজুলী নাচে হৃদয়মাঝে ব্রেক।
দুকানে তার ঝুমকা দোলে কদম ফুলে ফুলে
নাকের নথ বানিয়েছে কলমিলতা দিয়ে;
খোঁপাতে তার ফুলের সুবাস জুঁই কামিনী গেঁথে
ডাগর ডাগর দুচোখ খুলে চায় শুধু মেয়ে।
আঁকাবাঁকা পথে ওযেন হেঁটে যায় অরণ্য আর বনে
রিমঝিম বৃষ্টি ভেজা উতলা বাদলা দিনে;
রোদবৃষ্টির লুকোচুরি নাটাই ছাড়া পাগলা ঘুড়ি
ফিরে ফিরে ডাকে মেঘ গুরুগুরু গানে।
সবুজপাতার শাড়ি পড়ে ও মুখেতে ভরা নদীর হাসি
হাজার ফুলের মাঝে যেন রঙিন এক প্রজাপতি;
লালটুকটুক ঠোঁট দুটি তার স্বচ্ছ জলের কোণা
হঠাৎ যখন খুলে দেখি আমি দুটি আঁখি।