যেদিন প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্ব পেয়েছি সেখান হতে আজ অবধি এমন একটি রাত নেই যে, নিশ্চিন্তে বিছানায় গিয়েছি! এমন কোন দুপুর নেই যে ঠিকঠাক দুটো খেতে পেয়েছি! এমন বিকাল জুটেনি যে ফাঁকামাঠে হেঁটেছি! সকাল হয়েছে দুঃস্বপ্ন শেষের নিরাশ জাপিত জীবনের করুণ সুরের আবহে। জীবনের সত্য মধ্যবিত্তপরিবারের সন্তান হিসেবে জানতে পেরেছিলাম আরও আগেই। মিথ্যে আশা তবুও জীবনকে এগিয়ে নিয়ে এনেছে এতটুকু পর্যন্ত।
সততা সত্য আর চরম ধৈর্যের বিনির্মানে আমার আজকের বর্তমান। তবে পরগাছার মত একটা বৈশিষ্ট্য যেটা হলো যেকাউকে সহজেই বিশ্বাস করে ফেলা ব্যাধির প্রতিকার সম্ভব হয়নি আজও। তা-ই কতনা অভিনয় দেখতে হচ্ছে অহর্নিশ। সামনা সামনি কতই আপন সবাই! পদমর্যাদা ভুলে সবাই কে আপন করাটা দুর্বলতা ও বোকামি দুটোই! ভালোবেসে শ্রদ্ধাভরে কাউকে মেন্টালি ব্লাকমেল করা যায় সে শিক্ষা বা নমুনার ইতিবৃত্তান্ত আমার দেহময় মনোময় আরেক বর্তমানের ছায়াশরীরের নাম আমি! আজকের আমি! ভরসার জামাকাপড় নিরাপত্তাহীনতার ময়লায় মলিন ও ভারিক্কি হয়ে গেছে! শয়তানকে স্বজন ভাবনার খেসারত নিজেরথেকে নিজেকে পালিয়ে পালিয়ে দিয়ে যেতে হচ্ছে! মনোযোগ মনোরোগ মনোশোক সব আজ মিলেমিশে একাকার! কি নিখুঁত প্রাণশক্তির অভিনয় বিশ্বাসী জনের! মায়া লাগে আমার আমিটার প্রতি!তাই আকাশের দিকে তাকাতেই পারিনা লজ্জায় অভিমানে! সে কেনো উদার হতে বলেছিলো আমাকে! সাগর কে দেখতে চাইনা কারণ গভীর বিশ্বাসের প্রতিদান এমন হলো কেনো! পাখিদের উড়ালও আমার ঘৃণাভরে দেখতে হয়, যদি মেঘকে ফাঁসিয়ে দেয় বৃষ্টি চুরির অপরাধে! সবুজের প্রতিও মোহনেই মোটে আজকালকার আমিটার! রংধনুকে মেরেফেলবে নাতো হঠাৎই! জলের প্রবাহকেও পাহারাদার রেখেছি নিম্নহতে উপরে না যেতে পারে সেজন্য! শুকতারার ফটোকপিটা আংটির মাধ্যমে মনের আকাশের অনামিকায় পরেছি গিরগিটির প্রদর্শিত শুভাশুভতে! কেনো নিয়তির অসহায় বা ফেলনাচাহনীর নিষ্পাপ বালিকার মতো মনে হচ্ছে আজ!