• আজ- সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন

অশরীরীর পথচলা

সাজ্জাদ ফাহাদ / ২৯৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩

add 1
  • সাজ্জাদ ফাহাদ

পুরো গ্রামে এক সাথে আওয়াজ উঠেছে এ গ্রামের নাজির নাকি আশরীরীর কথা শুনতে পায়। তার কয়েক মাস পর আবার আওয়াজ উঠে, নুহাস নাকি অশরীরীর দেখা পেয়েছে। অশরীরী নাকি দেখতে মারাত্মক রকমের সুন্দরী। কিন্তু চিন্তার বিষয়, সে যদি অশরীরী-ই হয় তাহলে তাকে দেখলো কি করে? যাকে দেখা যায় সে কি করে অশরীরী হয়? কিন্তু এ চিন্তাটা সাধারণ মানুষের মাঝে নেই। মানুষ অযথাই বিশ্বাস করে নিয়েছে এ গ্রামে অশরীরী প্রবেশ করেছে, নাজির অশরীরীর কথা শুনেছে, নুহাস অশরীরীকে দেখেছে…। সাধারণ মানুষজন যেয়ে নুহাস আর নাজিরের কাছে ভিড় জমায়। গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে তারা অল্প কয়েক দিনেই হয়ে উঠে, পবিত্র দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু। তাদের কাছে মানুষজন যেয়ে ভিড় করে পানি পড়া আনতে…
গ্রামের কিছু জ্ঞানী লোক বুঝেছে তারা দু’জন সারা গ্রামের লোকেদের বিশ্বাস নিয়ে খেলছে। তবে বুঝেও তারা কিছু করতে পারছে না৷ কারণ, গ্রামে জ্ঞানী লোকের চাইতে অজ্ঞ কাকের সংখ্যা অধিক মাত্রায় বেশি৷ তাই তারা চুপ করে সব কিছু দেখে যাচ্ছে৷

কিছুদিন পার হতেই নুহাস ঘর ছেড়ে বনে চলে গিয়েছে। এখন থেকে সে বনেই তার জীবন কাটাবে বলে লোকমুখে শুনা যাচ্ছে। তাকে নাকি অশরীরী বলেছে ঘর ছেড়ে বনে যেয়ে থাকতে। সে নাকি তার বাড়ি-ঘর, ধন-সম্পদ সব কিছু আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে৷ নুহাস বনে গিয়েছে তাও কিছু সংখ্যক মানুষজন তার পানি পড়া আনতে সেখানেও ভিড় জমায়। নুহাসের পানি পড়ায় নাকি মারাত্মক রকমের উপকার হয়। সব ধরনের রোগবালাই নাকি তার এই পানি পড়ায় সমাধান হয় ৷ গত কিছুদিন যাবত ধরে নুহাসের কিছু কথা সারা গ্রামে বাতাসের মতো উড়ছে-ঘুরছে।

কথাগুলো হলো এমন:
ইসামতি হেতির নাতির কু-নজরের লাইজ্ঞা নুসাহ সাবের থেইক্কা পানি পড়া নিছিলো। ইসামতি নিয়া হেতির মাইয়ার জামাইরে নুহাস সাবের পানি পড়ার কথা কইয়া দিছে আর-ই বলে হেতির জামাই পানিডা হাতে নিয়া, উড়া দিয়া হালায় দিছে। যেনো যাইয়া এই পানিডা পরছে হেনো বলে সাথেসাথে আগুন ধইরা গেছে!
তারপর, মিজান মাষ্টরের মাইয়া কুট্টিডায় বলে পানিত পরছিলো। তৈ বলে নুহাস সাবের কাছে ধরা ধরা কইরা লইরা গেছে। নুহাস সাবে বলে মানুষটিরে দেইক্ষাই কয়,’তুরা আর আইছ কিত্তিরে! তুগো মাইয়া মইরা গেছে। যা।’ এর পরে মানুষ গুনরে যহন হাকমি-ধামকি দিয়া বনেত্তন পাডায় দিছে। মানুষ গুন যাইতাছে গা৷ তহনি বলে অশরীরী আইছে। আইয়া নুহাস সাবেরে বলে কি একটা লাডির মতোন দিছে৷ হেয় বলে মানুষটিরে আবার ডাইক্কা হের কাছে নিছে, এর পরে বলে লাডিডা দিয়া খালি মাইয়াডারে একটা গুতা দিছে। মরা মাইয়া হাল দিয়া উঠছে……।

আরো কিছু কথা গ্রামে ছুটাছুটি করছে ৷ এক রাতে নানক সাহেব (গ্রামের জ্ঞানীদের একজন ) বনে যেয়ে নুহাসের সাথে দেখা করে। নানক সাহেব বলেন-
– নুহাস, তুমি যে গ্রামের মানুষের সাথে ধুকাবাজি করতাছো তা কি ঠিক?
নুহাস কোনো কথা বলে না৷ নানক সাহেব তাকে একের পর এক কথা জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর নানক সাহেবের হাতে নুহাস একটা কাগজ দিয়ে বলে,’ এই কাগজে আপনার সব উত্তর লেখা আছে৷ এটা কোনো সাধারণ কাগজ না৷ এই কাগজ অশরীরী দিয়েছে৷ ক্ষেত্র বিশেষে এই কাগজ মানুষের মতো কথা বলে৷ আপনি এখন জান৷’ নুহাস, নানক সাহেবকে শর্ত দিয়ে দিয়েছে৷ সে যাতে এই কাগজ তার ঘরে বসে পড়ে৷ নানক সাহেব বন থেকে লুকিয়ে বেরিয়ে পরে। তারপর সে তার ঘরে যেয়ে সেই কাগজটা খুলেন৷

তারপর পড়তে শুরু করলেন:
আব্দুল হাই
করে খাই খাই।
খেয়েও বলে কিছু খাই নাই।
লাউ খাই
সিম খাই
মুরগির ডিম খাই
খেয়ে বলে কিছু খাই নাই।
পুলিশের লাঠি খাই
বিরিয়ানি ফুল খাই
ফুটবলের কিক খাই
কলমের কালি খাই
সাকিবের ছাতা খাই
ব্লাকবোর্ডের চক খাই
আঞ্জিলার দুধ খাই
খালের পেক খাই
ডিমের খোসা খাই
খেতে খেতে খেতে খেতে
পেট হলো ঢোকল
তবুও সেই পুরনো কথাই বুল।

নানক সাহেব তার পড়া শেষে বড় ক্ষিপ্ত হলেন৷ তিনি যে সকল প্রশ্ন গুলো নুহাসকে করেছেন তার কোনোটার উত্তর-ই এ কাগজে নেই৷

নাজির ও এখন বনে চলে গেছে। তাকেও নাকি অশরীরী বলেছে সব কিছু ছেড়ে বনে যেতে। নাজির এখন নুহাসের বন সঙ্গি হয়েছে। তারা একি সাথে থাকে৷ তাদের কাছে এখন মানুষের ভিড় আরো বেড়ে গেছে। শুনা যাচ্ছে শুভ্রও নাকি এখন অশরীরীর কথা শুনতে পায়। সে নাকি স্বপ্নে একবার অশরীরীর অপূর্ব চেহারাও দেখেছে। তাতে সে নিজেকে ধন্য মনে করছে।
গত কয়েক মাসে নানক সাহেব সহ গ্রামের অন্যান্য জ্ঞানীরা বহুবার নাজির আর নুহাসের কাছে বনে গিয়েছে। তারা তাদেরকে অনেক রকমের প্রশ্ন করেছে। তাদের থেকে অনেক কিছু জানতে চেয়েছে কিন্তু তারা কোনো কথাই বলেনি৷ কথার বদলে তারা প্রতিবার একটা করে কাগজ দিয়ে বলেছে, ‘এই কাগজে সব উত্তর লেখা আছে৷ এটা কোনো সাধারণ কাগজ না৷ এই কাগজ অশরীরীর দেওয়া৷ ক্ষেত্র বিশেষে এ কাগজ মানুষের মতো কথা বলে। এখন জান৷’ তাদের দেওয়া মোট এগারোটা কাগজ এক সাথে হয়েছে৷ প্রত্যেকটা কাগজেই ভিন্ন রকমের লেখা৷

তাদের দেওয়া দ্বিতীয় কাগজে লেখা:
তোমার দীর্ঘশ্বাস চলে বারোমাস।
সেই আকাশ
সেই আসমান
সেই নদী কাল বৈশাখি
আমি অশরীরী হাওয়া দেখি
বিয়ে বাড়ির ঝিকিমিকি বাতি
কনি মিয়ার লুঙ্গির ছাতি
আপেলের রস টমেটোর ঝুল।
আমি অশরীরী
এ পাতাই মূল।

তৃতীয় কাগজে লেখা:
আমি অশরীরী।
কিন্তু আমাকে দেখে ;
তবে সবাই দেখে না।

চতুর্থ কাগজে লেখা:
মানুষ বড় বোকা জাতি৷ তারা কোনো কিছু শুরু করার আগে সে বিষয় ধারণা নিতে নিতেই অনেক সময় পার করে দেয়। যার ফলে সেই কাজটা কেউ যখন করে তখন দীর্ঘ সময় করার সুযোগ পায় না৷ কারণ, সে তার সময় গুলোকে ধারণা গ্রহণেই পার করে দিয়েছে৷ যারা অশরীরীর নীর খেতে চাও, তোমরা বেশি ভেবো না। ভাবনা ছাড়াই কাজ শুরু করে দিও।

পঞ্চম কাগজে লেখা:
অশরীরী কোনো সাধারণ কিছু না৷ অশরীরীর কাছে মানুষের জ্ঞান খুবি নগণ্য বিষয়৷ তাই মানুষ অশরীরীর সব কথা বুঝবে না। অশরীরীর সামান্য কথা বুঝতে ও মানুষের বহু বছর লেগে যাবে৷ আমি অশরীরী। আমাকে যে বিশ্বাস করবে না, সে বিশ্রী।

ষষ্ঠ কাগজে লেখা:
অশরীরীকে যে দেখে, যে অশরীরীর কথা শুনে এবং যে অশরীরী আছে এ কথা বিশ্বাস করে, আমি অশরীরী তাকে আমার গায়ের নীর খেতে দেই৷ যে এই নীর খেলো সে ধন্য হলো। আর যে তা থেকে বাদ পরলো সে নিঃস্ব হলো।
নানক ও তার সঙ্গিরাও নিঃস্ব হবে, আর বেশিদিন নেই। হিমালয় আমার যে রূপ দেখেছে তারাও তাই দেখবে৷

সপ্তম কাগজে লেখা:
নারী তার চোখ দিয়ে আমাকে দেখবে না৷ তবে তারা তাদের স্বামীকে দেখবে৷ তারা যেনো তাদের স্বামীর মাঝেই আমাকে খুঁজে। আমি অশরীরী আর তাদের স্বামীরা শরীরী। আমার আর তাদের স্বামীদের মধ্যে এই টুকুই পার্থক্য।

অষ্টম কাগজে লেখা:
সাজিদ বাড়ি থেকে অনেক দিক পর তার হোস্টেলে ফিরেছে৷ সে তার রুমে ঢুকে দেখে তার বিছানাতে তিনটা চিকার বাচ্চা এদিক সেদিক ছুটছে। সে রুমে একা, ভীষণ ভয় পায়। কিন্তু রুমে তো থাকতে হবে৷ তাই সে চিকার বাচ্চা গুলোকে মারার চেষ্টা করে। ছাত্র মানুষ। রুমের মধ্যে বই-খাতা ছাড়া আর কিছু নেই৷ বাহিরে যেয়ে লাঠি খুঁজে, পায় না৷ আবার রুমে ঢুকে তারপর তার বই দিয়ে ঢিল মেরে মেরে চিকার বাচ্চা দূর করার বা মারার চেষ্টা করে। বারবার চেষ্টা করেও সে ব্যর্থ হচ্ছে। চিকার বাচ্চাদের দৌড়ের মাঝে সে সঠিক নিসানায় ঢিল ফেলতে পারছে না। কিছুক্ষণ পর পাশের রুম থেকে পিয়াস আসে৷ পিয়াস বয়সে তার তিন বছরের বড়। সে এসে সাজিদকে বলে,” তুই একটা গাঁধা। বই দিয়ে কি চিকার বাচ্চা মারা যাবে! চিকা মারতে হবে লাঠি দিয়ে। বই দিয়ে পাখি মারা যায়, প্রজাপতি মারা যায়, চিকার বাচ্চা না৷ যা ঝাড়ুটা নিয়ে আয়।” তারপর সাজিদ যেয়ে পিয়াসের রুম থেকে ঝাড়ু নিয়ে আসে৷ পিয়াস এক এক করে দুইটা চিকার বাচ্চাকে মারে। আরেকটা পালিয়ে গেছে।

নবম কাগজে লেখা:
রাস্তার ধারে খায় বিড়ি
আমি অশরীরী
এই ভাষা হিন্দি-‘ দিল মেরি’
নষ্ট ঘড়ি, নষ্ট লাইট,
চাষির পুলার নষ্ট ফ্লাইট,
বিশাল বাড়ির দরজা নাই
রইলি কোথায় আব্দুল হাই?

দশম কাগজে লেখা:
পাদরি নিন্দা বুদ্ধ, বুদ্ধ নিন্দা পাদরি,
ঠাকুর নিন্দা পীর আর পীরের নিন্দা ঠাকুর,
নিন্দুকের নিন্দা করে অভঙ্কুর ভঙ্কুর।

একাদশতম কাগজে লেখা:
আমি অশরীরী, আমি দালানের দেয়াল নয়, আমি তার ভূমিতল। গড়িয়ে পরছে গুরুর পদ নীর, পান প্রত্যাশায় বহু শীষ্যের ভিড়। আমি মানুষের গরু আর নুহাস ও তার সঙ্গিরা আমার আর মানুষের মধ্যকার মাধ্যম।

এই সব কাগজে জ্ঞানীদের প্রশ্নের দুই একটা উত্তর ছাড়া আর কোনো উত্তর নেই৷ জ্ঞানীরা বনে যেয়ে নুহাসকে এ কথা জানালে নাজির তাদের দেওয়া কাগজ থেকে ঊদ্ধৃতি দিয়ে বলে, তোমরা কি সে কাগজে দেখতে পাওনি অশরীরীর কথা? অশরীরী তো পঞ্চম কাগজে বলেই দিয়েছে,”অশরীরী কোনো সাধারণ কিছু না৷ অশরীরীর কাছে মানুষের জ্ঞান খুবি নগণ্য বিষয়৷ তাই মানুষ অশরীরীর সব কথা বুঝবে না। অশরীরীর সামান্য কথা বুঝতে ও মানুষের বহু বছর লেগে যাবে৷ ” তোমাদের আমাদের জ্ঞান খুবি নগণ্য। এই সামান্য জ্ঞান দিয়ে অশরীরীর সব কথা বুঝা যাবে না।
তাদেরকে যেকোনো প্রশ্ন করলেই তারা অশরীরীর দেওয়া কাগজের ঊদ্ধৃতি দিয়ে মানুষকে আটকে দেয়৷ মানুষ তাদের সঠিক উত্তরটা পায় না৷ শুভ্র ও এখন বনে চলে গিয়েছে৷ সেও সঙ্গ মিলিয়েছে নুহাস আর নাজিরের সাথে৷ শুভ্রর এগারোটা কাগজের সব লেখা মুখস্থ। তাদের কাছে এখন কেউ পানি পড়া আনতে গেলে তারা তাদেরকে অশরীরী সম্পর্কে নানান তথ্য দেয়, তাদেরকে শুভ্র সেই কাগজ গুলোর লেখা পড়ে শুনায়। তারা সবাইকে সেই এগারোটা কাগজ দিতে থাকে…৷ অশরীরীকে খুশি করতে তারা নানান আজগুবি কর্মকাণ্ড করতে থাকে৷ দিনে দিনে গ্রামের মানুষজন বুঝে না বুঝেই দল বেঁধে অশরীরী বিশ্বাসী হতে শুরু করে৷ এই ভাবেই শুরু হয় গ্রাম জুড়ে অশরীরীর পথচলা৷ মানুষ জন ধীরেধীরে বাড়াতে থাকে অশরীরীর গভীরতা।
অশরীরী আদেশ করেছে নুহাসকে, তারা যাতে অশরীরীর কথা তাদের সাধ্য মতো মানুষকে জানিয়ে দেয়৷ নুহাস অশরীরীর কথা মতো নাজির, শুভ্র, সামিন সহ আরো অনেককে দূর-দূরান্তে অশরীরীর কথা জানাতে পাঠিয়ে দেয়৷ বনে নুহাস একা। মানুষজন এখন পানি পড়ার জন্য বনে আসেনা৷ অশরীরী বলেছে, তার দেওয়া সেই এগারোটা কাগজের লেখাই হলো সব রোগের উত্তম চিকিৎসা। প্রত্যেক ঘরের-ই একজন করে সেই কাগজের লেখা গুলা মুখস্থ করে রেখেছে৷ এই কাগজের লেখ পড়ে পানিতে ফুঁক দিয়ে সে পানি পান করলেই নাকি যেকোনো রোগের চমৎকার উপকার পাওয়া যায়৷

কয়েক বছর পর নাজির, শুভ্রসহ অন্যান্যরা বনে ফিরে। তারা বনে এসে দেখে নুহাস নেই৷ তারা নুহাসের বাড়ি যায়। সেখানেও সে নেই৷ তারা নুহাসকে খুঁজে বের করে৷ বন ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে নুহাস তাদের একটা কাগজ দেখিয়ে বলে, ”এই কাগজ অশরীরী দিয়েছে। এখানে লেখা, তোমারা তোমাদের বাড়িতে অবস্থান করো ; যেখানে তোমার নাড়ি পুতা সে জায়গা ছেরো না৷ এখানে আমার নাড়ি পুতা। তাই আমি এখন এখানেই থাকি। ” নুহাসের কথা শুনে তারা তাদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যায়। শুভ্র বনে যাওয়ার আগে তার স্ত্রীকে বাড়ি রেখে গিয়েছিলো। তার কোনো সন্তান হয়নি তখন। কিন্তু এখন বাড়ি ফিরে দেখে তার স্ত্রী তিন সন্তানের মা। বিছানায় বাচ্চা কান্না করছে৷ তার স্ত্রী তাকে দেখে অবাক হয়৷ তার স্ত্রী বাচ্চাদের দেখিয়ে বলে, এই গুলো অশরীরীর দেওয়া উপহার৷
শুভ্র বিস্মিত হয়ে বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের সবাইকে দেখতেই নুহাসের মতো। সন্ধ্যায় শুভ্র নুহাসের কাছে যেতে বেরিয়ে পরে। যাওয়ার পথে শুনতে পায়, নানক সাহেব সহ তাদের কয়েক জন আগুনে পুড়ে মারা গেছে। শুভ্রর মনে পরে অশরীরীর দেওয়া পঞ্চম কাগজের কথা। যেখানে লেখা ছিলো, নানক ও তার সঙ্গিদের ধ্বংসের কথা।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ১২:৩৩)
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২০ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬
  • ৮ পৌষ, ১৪৩১ (শীতকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT