ইট-টালি-পাথর-বালি দিয়া বানাইছি ঘর,
ভেতরে বহিছে রক্ত নদীর স্রোত।
আছে বাড়ি, আছে গাড়ি, আছে ভারি ধন
রক্ত নদীর স্রোত গভীরে অদৃশ্য আমি;
অদৃশ্য আমার মন।
বড় মিয়ার বাপ আমি নাই তার মনে ;
দাই মার কোলে সেদিন দেখিয়া তারে
ভেবেছিলাম হবো অমর আপন এ ধনে,
যতোকাল বয়ে যাবে রক্ত নদীর স্রোত।
হেসেছি সেদিন উৎফুল্লের হাসি
তবে তা তুচ্ছ সবি-
রক্ত নদীর স্রোতে আমি তলিয়ে গেছি।
‘কবিতা চেনে সবে, অচেনা রয় কবি
হারিয়ে যায় শিল্পি তবে অঙ্কিত ছবি চিরোজীবি।’
বেশি দিন হয়নি জুড়েছি মাটির ঘর,
রক্ত নদীর স্রোত বহমান কেবল আমি-ই হয়েছি পর।
আড়াল থেকে করলাম পদাঘাত
তুচ্ছ জগৎ সংসার।