সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন যুবকের মৃত্যু নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। ডেঙ্গুর প্রকোপ এ বছর সারাদেশেই ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। তবে সাতক্ষীরায় এটি প্রথম মৃত্যু হলেও, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ও সচেতনতা নিশ্চিত করতে আমাদের এখনই আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাইদুল ইসলামের মৃত্যু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ডেঙ্গুর মতো রোগ প্রতিরোধে এখনও আমরা অনেক জায়গায় পিছিয়ে। যদিও নভেম্বর মাসে ৫৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তবুও নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রমাণ করে, ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেনি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং নাগরিক সমাজকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে সঠিক সময়ে ফগিং এবং কীটনাশক প্রয়োগ জরুরি। একইসঙ্গে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার চালাতে হবে—যেমন, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করা এবং মশারি ব্যবহারে উৎসাহিত করা। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় আরও গুরুত্ব দেওয়া এবং হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জনবল নিশ্চিত করা। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগী সেবায় যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, তা নিশ্চিত করা জরুরি। সাইদুল ইসলামের মৃত্যু থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। ডেঙ্গুতে আর কোনো প্রাণহানি যেন না ঘটে, সে জন্য ব্যক্তি ও প্রশাসন—সবারই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা আবশ্যক। এ ব্যাপারে আমরা উদাসীন হলে ভবিষ্যতে এর মাশুল আরও ভয়াবহ হতে পারে।