• আজ- সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন—সময়ের দাবি

আব্দুর রহমান / ১২০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

add 1

শিক্ষাব্যবস্থায় ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ২০২২ সালের কারিকুলাম বাতিল করে ১০ বছর আগের পুরনো কারিকুলামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একটি বড় ধরণের নীতি পরিবর্তন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু ইতিবাচক হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, কেন নতুন কারিকুলাম বাতিল করে পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া হলো? বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান শিক্ষাক্রম আরও সময়োপযোগী করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের মাধ্যমে এই কাজটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, গত জুলাই ও আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসকে পাঠ্যবইয়ে সংযোজনের উদ্যোগ একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের সমসাময়িক ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে পারবে। তবে দুঃখজনকভাবে, এই ইতিহাস আগামী বছরের পাঠ্যবইয়ে স্থান পাবে না। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক বছর, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, এই ইতিহাস সংযোজনের জন্য পর্যাপ্ত গবেষণা এবং যাচাই-বাছাই করা জরুরি। তাড়াহুড়ো করে এটি সংযোজন করলে তথ্যগত ভুল এবং অপূর্ণতা থেকে যেতে পারে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সঠিক ও নির্ভুল তথ্য উপস্থাপন করাই সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। তাই সময় নিয়ে যথাযথ গবেষণা করার জন্য ২০২৬ সালে এটি পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে এনসিটিবি।

এছাড়াও, পুরনো শিক্ষাক্রমের বইগুলো সংশোধনের কাজ চলছে। ঐতিহাসিক ঘটনার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত তথ্য বাদ দেওয়া এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ্যবই থেকে মুছে ফেলার পরিকল্পনা বেশ আলোচিত। তবে, পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তন ও সংশোধনের এই প্রয়াস কতটা স্বচ্ছ এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর দাঁড়াচ্ছে তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা উচিত।

আমরা আশা করি, এনসিটিবির এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। তবে, শিক্ষাক্রমে যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ বা পক্ষপাতিত্বের প্রভাব এড়িয়ে চলা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিক ইতিহাস এবং বাস্তবমুখী শিক্ষা লাভ করতে পারে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT