রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে ১২ সাংবাদিকসহ মোট ২৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার ইমরানের মা কোহিনূর আক্তার যাত্রাবাড়ী থানায় এই মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমীর, সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা, যেমন একাত্তর টিভির মোজাম্মেল বাবু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, এবং এটিএন নিউজের সাবেক বার্তাপ্রধান মুন্নী সাহা।
এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির (জেপি–মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
কোহিনূর আক্তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন যে তাঁর ছেলে ইমরান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং ৫ আগস্ট কুতুবখালীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা ওই দিন আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি, পেট্রলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। ইমরানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।