যখন কেউ সত্য উপলব্ধি করে সেটি চারপাশে ছড়িয়ে দেন, তখন তিনি অমর হন। সত্য নিজের মধ্যে রাখলে তা শক্তিহীন হয়ে যায়। আমরা এমন একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ রামমোহন রায়ের কথা বলছি, যিনি সতীদাহ প্রথা বন্ধে সংগ্রাম করেছিলেন।
রামমোহন ছিলেন একজন বুদ্ধিজীবী ও সংস্কারক, যিনি সমাজের কুসংস্কার ও ধর্মীয় ভণ্ডামির বিরুদ্ধে লড়াই করেন। সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি সমাজকে শাস্ত্রের ভিত্তিতে বুঝাতে চেষ্টা করেন যে, এই প্রথা ধর্মীয় নয়। তিনি বহু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং সংস্কৃত, আরবি, ফার্সি শিখে শাস্ত্র অনুবাদ করেন।
১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ হয়। এই প্রচেষ্টার কারণে তিনি সমাজের রক্ষণশীলদের রোষানলে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তার লেখনী ও উদ্যোগ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করে।
রামমোহন যুক্তির সাহায্যে সতীদাহ প্রথা রদে ইংল্যান্ডে যান এবং প্রিভি কাউন্সিলে প্রথার সমর্থকদের আপিল প্রতিহত করেন। তার সংগ্রাম ও অবদান তাকে ইতিহাসে অমর করেছে।