মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে বেঁচে গেলেন এক কুয়েতি নারী। আট বছর আগে বন্ধুকে হত্যার দায়ে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছিল এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ নির্ধারিত ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। তবে শেষ মুহূর্তে নিহত ব্যক্তির পরিবার ১০ লক্ষ কুয়েতি দিনার, যা প্রায় ৪০ কোটি টাকার সমান, ক্ষতিপূরণ গ্রহণের শর্তে তাকে ক্ষমা করে দেয়।
আরব টাইমস সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীসহ মোট সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা ছিল। বাকি ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও, বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ মেনে নিয়ে পরিবার ওই নারীকে ক্ষমা করে দেয়। মানবাধিকারকর্মী বাদর আল-মুতাইরি এ ঘটনায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই ও আলোচনার মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে সমঝোতা করতে সক্ষম হন।
বিচারিক প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মামলাটি জটিল ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পরিবার ও আইনজীবীদের চেষ্টায় ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হয়। প্রথমে পরিবার ৭০ লক্ষ কুয়েতি দিনার দাবি করেছিল, কিন্তু তা পূরণ না হওয়ায় তখন কোনো সমঝোতা হয়নি। অবশেষে, নিহতের মা ১০ লক্ষ কুয়েতি দিনারের বিনিময়ে হত্যাকারীকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেন।
কুয়েতে হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে আইন অনুযায়ী, নিহতের পরিবার যদি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে এবং ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করে, তাহলে মৃত্যুদণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকে। এই ঘটনা কুয়েতে বিচার ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যা আইনি প্রক্রিয়া ও মানবিক সমঝোতার জটিলতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।