• আজ- মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

হামাস প্রধান হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার

লেখক : / ৪৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪

add 1

দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গত কয়েক দিন যাবৎ গাজা ভূ-খন্ডের সর্বত্র ব্যাপক ভাবে হামলা পরিচালনা করছে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলা এবং নিষ্ঠুরতা বিশ্বের সব ধরনের অতীত নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে গেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর একমাত্র লক্ষ এবং উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদেরকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করা। কারন ফিলিস্তিনিদেরকে নিশ্চিহ্ন করন না করা গেলে ফিলিস্তিন ভূ-খন্ড দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দখল করতে পারছে না। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর দখলদারিত্বের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা বড় প্রতিবন্ধকতা ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ হামাস। আর এ কারনে দখলদার বাহিনীর মাঝে সর্বক্ষন বিরাজ করে চলেছে হামাস আতঙ্ক। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাসকে এতটুকু ভীতু এবং আতঙ্ক, উদ্বিগ্ন যে সরাসরি হামাসকে পরাস্থ করতে না পেরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গুপ্ত হত্যায় মেতে উঠেছে এমন এক গুপ্ত হত্যায় দখলদার বাহিনী হামাসের প্রধান প্রাক্তন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের অগ্রদুত ইসমাইল হানিয়া হত্যাকান্ডের পর থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় দ্বিগুন তিনগুন পরিমান নিষ্ঠুরতা ও গনহত্যা পরিচালনা শুরু করেছে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুপ্ত হত্যায় ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হয়। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে স্বরনে এনেছিলো যে, হামাসকে শেষ করা গেছে কিন্তু বাস্তবতা হলো হামাস শেষ হইনি। হামাস কয়েকগুন শক্তিতে বীর বিক্রমে গাজা উপত্যকায় বিরামহীন ভাবে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে যুক্ত করছে। হামাসের নতুন প্রধান নির্বাচিত হয়েছে ইয়াহিয়া হানিয়া। গাজার মাটিতে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুগ যুগ যাবৎ যুদ্ধরত দুর্ধর্ষ কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজার মাঠ পর্যায়ের এই যোদ্ধার জন্ম খান ইউনিসের একটি আশ্রয়শিবিরে। বোমা বিশেষজ্ঞ এবং যুদ্ধ কৌশলী হিসেবে ইয়াহিয়ার বিকল্প নেই। হামাস ইসরাইলের ভয়াবহ যুদ্ধের এই সময় গুলোতেও ইয়াহিয়া সিনওয়ার যুদ্ধরত। এদিকে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি জরুরী বৈঠকে বসেছে আর বৈঠকের উৎস্য হিসেবে বিবেচিত ছিল হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যাকান্ড, ওআইসি সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে যে ইসমাইল হানিয়াকে ইসরাইলই হত্যা করেছে। আর এ হত্যাকান্ড এতটুকু ঘৃনিত এবং অনাকাঙ্খিত যে ইসরাইলকে অবশ্যই এর দায়গ্রহন করতে হবে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ইসলামিক উন্নয়ন সংস্থা ওআইসির বৈঠকে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার নিন্দা জানানো হয় এবং হামাস প্রধানের হত্যার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এদিকে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। নির্বিচারে নির্মম হত্যা কান্ড পরিচালনা করলেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিদের মুক্ত করতে পারেনি। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে বিক্ষোভ চলছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা চাইছে গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের আগমন ঘটানো আর এই দুর্ভিক্ষাবস্থার অন্যতম উপায় হিসেবে ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক গাজায় খাদ্য সরবরাহে বাঁধা প্রদান। গাজার ৮০ ভাগ বসতবাড়ী ইসরাইলি বাহিনী ধ্বংসস্তুপে পরিনত করেছে। পশ্চিম গাজায় চলছে চরম নিষ্ঠুরতা, মধ্য ও উত্তরের বিস্তীর্ন এলাকা বিরান ভূমিতে পরিনত হয়েছে। এদিকে দখলদার ইসরাইলের অভ্যন্তরে আবারও রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল হিজবুল−াহ চলছে পাল্টা পাল্টি হামলা। রাফা শহরের নিয়ন্ত্রন গ্রহন করেছে হামাস যোদ্ধারা। এদিকে ইরান ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা হতে পিছিয়ে আসেনি। যে কোন সময়ে ইসরাইলে হমলা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইরান। ইরানের পাশাপাশি সিরিয়া, তুরস্ক ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনার ঘোষনা দিয়েছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে আবারও অস্ত্র সহ আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে বলে জানাগেছে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (রাত ১:০৮)
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬
  • ২ আশ্বিন, ১৪৩১ (শরৎকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT