মন জুড়ে উতলা চলে সুধা তরঙ্গ-
হৃদয়ে বাঁধে বাসা অফুরন্ত স্বপ্ন;
অশরীরীর মতো এসে উঁকি দেয় শ্রান্তি,
কোথায় যেনো চলে যায় সুধা বসন্তি।
মনের জোয়ারে গভীর তরঙ্গে ভেসে আসে অতীতের নাও,
বুক ফেটে আসে ক্রন্দন,
মনে পরে কতো ছায়ার মিথ্যা বন্ধন-
ইচ্ছা করে কাঁদি চিৎকার করে।
অতীত নাওয়ের মাঝির গানে নৈশব্দের এক তুমুল টানে
তপ্ত কিংবা শৈত হাওয়ায় অশ্রুর ভীরে,
রেখে যায় স্বাক্ষর অতীতের নাও তার-ই স্মৃতির শঁরা ;
হৃদয় নদী পূর্ণ তবে দু:খ কষ্টে ভরা৷
তেজে তপ্ত উচ্চ শির মম হয়ে যায় নত
সুধা তরঙ্গ থেমে গেলেই আমি হয়ে যাই বিরহঘাতে ক্ষত-বিক্ষত।
থেমে গেলে সুধা তরঙ্গ,
মনে পরে শত কতো অতীতের স্বপ্ন ভঙ্গ।
হৃদয় সাগরে সুধার মাঝেই ভেসে আসে দু:খ,
উনপঞ্চাশ বছর হয়েছে তবো
বুঝিনা হৃদয়ের অংক।
ঘোড়ার বহরে সুধার মোহরে মনে ঢুল-বাঁশি বাজে
হঠাৎ এসে উঁকি দেয় দু:খ নিত্যনতুন সাজে;
আমার দু:খ মুছে দিবে এমন কি কেউ আছে?
সুধা তরঙ্গের মাঝে ভেসে আসা অতীতে আমি হয়েছি আটক;
আমি দেখতে চাই ভবিষ্যত, চাই হৃদয়ের শৈথিল্য,
কামনা আমার- বহমান হোক অন্তর সুধার তরঙ্গ।