নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নিমতলায় মো: জালাল উদ্দীনের পাবদা মাছের প্রজেক্টে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে আনুমানিক ২০ লক্ষ্য টাকার মাছ ধ্বংস করছে।
গত ২০ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার নিমতলায় মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার পাশে মো: জালাল উদ্দীনের পাবদার ঘেরে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এই নির্মম ঘটনার শেখার হচ্ছেন অনেক মৎস্যজীবী মানুষ, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৎস্য মৎস্যজীবীরা। এলাকাবাসী এ প্রতিবেদক কে আরও জানাযায় জালাল উদ্দীন অনেক ভালো মানুষ এর আগে ও এক বার এই প্রজেক্টে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ মারা হয়েছে।
মো: জালাল উদ্দীন বলেন আমি থানায় একটা ই এজহার করছি আসামীরা এলাকার দস্যু প্রকৃতির। তাহারা সহ তাহাদের সহযোগীরা অত্র এলাকার বিভিন্ন লোকের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন সহ মাছ চুরি করে থাকে। সাতক্ষীরা থানাধীন নিমতলা নামক বিলে আমার নিজস্ব ও লিজ নেওয়া ৭ বিঘা জমির একটি মৎস্য ঘের আছে।
আমার ঘেরের দক্ষিন পশ্চিমপাশে আসামীদের একটি মৎস্য ঘের আছে। জায়গা জমি নিয়ে ও ঘেরে বিভিন্ন সময় পাহারা দেওয়াকে কেন্দ্র করিয়া উক্ত আসামীদের সহিত কিছু দিন পূর্ব হইতে আমার সাথে শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। তাহারা প্রকাশ্যে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে যে, আমার ঘেরে কোন প্রকার মাছ চাষ করিতে দিবে না, ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলিবে এবং মাছ লুট করিবে বলিয়া হুমকি দিয়ে আসিতে থাকে। আমার ঘেরে অনুমান ২০ লক্ষ টাকার পাবদা, রুই, কাতলা মাছের চাষাবাদ করা ছিল।
অনুমান ৮/৯ দিন পূর্বে উক্ত আসামীরা আমার সহিত ঘেরে ঝগড়া করে এবং বলে যে, তাহারা অতিশীঘ্রই আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন এবং মাছ লুট করিবে বলিয়া হুমকি দেয়। ইং- ২০/১০/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় আমি ঘেরে পাহারা দিতে থাকি। ঐসময় দেখি যে, উক্ত আসামীরা ও তাহার সহযোগীরা আমার ঘেরের দক্ষিণ পাশে পানিতে মাছ ধরিতেছে।
আমি জোসনার আলোতে ও টর্চ লাইট মেরে আসামীদের সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের মাছ ধরতে দেখি এবং ঘেরের পানিতে মাছ মরে ভাসতে দেখি। আমি তাহাদের নিকট যাওয়া মাত্রই উক্ত আসামীরা সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা ৮/১০ টি বস্তায় অনুমান ২০ মণ মাছ ভর্তি করে, নিয়ে চলে যায় এবং ঘেরের পানিতে বিষের গন্ধ পাই। বিষের পানিতে মাছ মরিয়া অনুমান ১৫ লক্ষ্য টাকার ক্ষতিসাধন হয় এবং ঘেরের দক্ষিন পাশে আমার ঘেরের পানিতে কয়েক টোপলা মশারির কাপড় দিয়ে মোড়ানো গ্যাস ট্যাবলেট পাওয়া যায়।