বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। আবহমানকাল যাবৎ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এই ছয় ঋতুর সাথে পরিচিত। ঋতু বৈচিত্রের ধারাবাহিকতায় শীত বছরে একবার আসে। বর্তমান শীত মৌসুম আসি আসি বলে অনেকটা এসে গেছে। শীতের এই সময় গুলোতে বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে না কিন্তু গত দুই দিন যাবৎ বৃষ্টিপাতের কবলে জনজীবন। গতকাল ছিল ডিসেম্বর মাসের সাত তারিখ আজ আট তারিখ এই সময়ে পুরোপুরি শীত অনুভূত হওয়ার কথা কিন্তু পুরোপুরি শীতের উপস্থিতি নেই। বৃষ্টিপাত এর উপস্থিতি শীতের আগমনী বার্তা বলছে অনেকে। শীত ঋতু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী শীতের সময়ে তাই সর্বত্র নতুনত্বের ছোয়া স্পষ্ট। শীতের সময় গুলোতে সবজির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। শীতের সবজি তার তাজা সবজি মূল্য ও ক্রেতা সাধারনের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। যাইহোক আমাদের আজকের আলোচনা শীত কেন পুরোপুরী অনুভূত হচ্ছে না। আবহাওয়াবিদদের মতে অতি সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ হতে যে ঘুর্ণিঝড়ের উদ্ভব হয় উক্ত ঘূর্ণিঝড় ও নিন্মচাপের কারন হেতু শীত পড়তে বা পুরোপুরি শীত অনুভূত হতে সময় নিচ্ছে। বিশ্বজলবায়ূর পরিবর্তন পরিবর্ধনকে অনেকে আবহাওয়ার বিপরীত মুখি আচরন হিসেবে দেখে থাকেন। বিশেষ করে শীতের সময় শীতের অনুভুত না হওয়ায় আবার বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টিপাতের দেখা না মেলা একই সাথে গ্রীষ্মের তাপদাহের সময় গুলো আসার পরিবর্তে উত্তরের হীমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সবই জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রতিফলন। আমাদের দেশের বাস্তবতায় আবহাওয়ার বিপরীতমুখি আচরন প্রত্যক্ষ করি আর আবহাওয়ার বিপরতীতমুখি আচরনের প্রভাবে ছয় ঋতু সাম্প্রতিক বছর গুলোতে গুটি কয়েক ঋতুতে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ বরাবরই সবুজ শ্যামল দেশ হিসেবে নিজেকে পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত করলেও মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করে চলেছে। আমরা শফত গ্রহন করি বৃক্ষ নিধন করবো না, আর একটি বৃক্ষ নিধন করলে অন্ততঃ সাতটি বৃক্ষ রোপন করি, শীতের সময় শীত থাকবে বর্ষার সময় বৃষ্টিপাত হবে আবার গ্রীষ্মের দিন গুলোত গরম পড়বে এটাই স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষা করাই সর্বত্তম পন্থা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আব্দুর রহমান
লেখা পাঠানোর ইমেইল: sahityapata24@gmail.com