দুইটি বছর কেটে গেল
মহামারী করোনায়;
শিক্ষার্থীরা পেল অটোপাশ,
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এবার
কমিয়ে দেওয়া হল প্রতি সপ্তাহে একদিন ক্লাশ।
পড়ে, না পড়েই যদি কেউ পায়
পাশের নিশ্চয়তা,
তবে; এভাবে একদিন ফুরিয়ে যাবে
শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা।
শিক্ষার্থীরা এখন আর কারো ধারদারী নয়;
ক্লাশ কিংবা প্রাইভেট টিচার,
কমে গেছে- পড়াশুনায় নিছক সময় ব্যয়;
কিংবা হোম ওয়ার্কের প্রেশার।
মাছের জীবনীশক্তি জল
ডাঙায় তাদের মরণ,
শিক্ষকের তেমনি ছাত্রছাত্রী, ক্লাশরুম ছাড়া;
স্থবির দশায় যেন সেচ্ছায় কারাবরণ।
তালা ঝুলেছিল গেল বছর প্রতিষ্ঠানে; তাই
এই মহৎ পেশা ছাড়ি,
জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছিল অনেকেই;
হয়েছিল ভিন্ন পেশাদারী।
কাজের বিনিময়ে অর্থ পেয়েছে ঠিকই
কিন্তু প্রাণে পাইনি প্রাণ,
শিক্ষকতা শুধু টাকার জন্য নয়
বেঁচে থাকার সঞ্জীবনী; টিকে থাকার প্রয়াস আপ্রাণ।
জাতির কারিগর শিক্ষক
সম্মান মর্যাদা ও গৌরবের ধারক বাহক;
করুণার পাত্র নয় কারো,
পিতা মাতার পর গুরুজন;
এই পেশাকে খাট করে দেখ যারা, সেই মানসিকতা ছাড়ো।