আমার এসএসসির ফলাফলের পর আমাদেরকে অন্য এলাকায় শিফট্ হতে হয় কলেজে যাতায়াতের সুবিধার জন্য । নতুন বাসায় আজ পাঁচদিন হলো, খুব মিস করছি আগের এলাকাটাকে। তবে এই এলাকাটা অনেক বেশি সুন্দর, আশপাশে অনেক বেশি গাছপালা ও নিরিবিলি পরিবেশ। বারান্দায় হাঁটছিলাম হঠাৎ চোখ পড়ল পাশের বাড়ির ছাদ থেকে এক মহিলা কেমন করে যেন তাকিয়ে রয়েছে, আমি রুমে চলে আসলাম, বাসাটা অবশ্য আব্বু আম্মুরই পছন্দ । আমার আর কি কাজ ! এলাকা নতুন বাড়িঘর নতুন রাস্তাঘাট নতুন মানুষজন নতুন কিছুই চিনি না কিছুই জানি না কলেজের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময়টাতে পুরো একা আমি।আর আম্মুতে সারাদিনই একা। যাইহোক ওই মহিলার চাহনি কেমন অদ্ভুত লাগছিলো যেন আমাকে না চোখের সামনে দিন দুপুরে ভূত দেখেছে এমন। দিনের বেলা আশপাশের পরিবেশটা উপভোগ্য হলেও রাতের বেলা পুরোপুরি ভূতুড়ে মনে হয় আমার কাছে। ভূতে সবার মতো আমিও অবিশ্বাসী। তারপরও এই ছমছমে পরিবেশের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলে হঠাৎ কেমন যেন একটা নীরব ভয় কাজ করে। আমি যেমন এই এলাকার কাউকে চিনি না তেমন ই কেউ মনে হয় না আমাকে চেনে। ৬তম দিনে আমি প্রথম বারের মতো নতুন বাসার ছাদে গেলে চিলেকোঠায় একটা ডায়েরি দেখতে পাই।ডায়েরির লাল রং আমাকে এতোটাই আকৃষ্ট করে যে কার না কার ডায়েরি ? এখানে কি করে তা না জেনেই আমি আমাদের বাসায় নিয়ে আসি।
: বাহ্ চমৎকার হাতের লেখা। পড়া শুরু করতেই জানা গেল ডায়েরিটা ২০১৫ সালের আর একটা মেয়ের ডায়েরি তার নাম ছিলো এনি। এনির এ বাসায় আসার কারণটা আমার মতোই ।
এনির ডায়েরিতে ২৪/০৫/২০১৫
চারপাশের মনোমুগ্ধকর নিরিবিলি পরিবেশ সবটাই আমার খুব পছন্দ হয়েছে কিন্তু এখানে আসার পর থেকেই আমি অদ্ভুত কিছু একটা অনুভব করি। কলেজে কোচিং এ ছাড়া আমার তেমন পড়াশুনা হচ্ছে না বাসায়। বিশেষ করে কোনো কিছু লিখতে গেলেই কবিতা লিখে ফেলছি। আমি চাইলেও আটকাতে পারছিনা। আর কবিতাগুলোও হচ্ছে যত্তসব প্রেম বিরহের কবিতা। প্রথম প্রথম কবিতাগুলো ভালোই লাগছিলো ফেসবুকে পোস্ট, কিছু গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম অনেকেরই ভালো লেগেছে পড়ে। কিন্তু সমস্যাটা হলো আমার মতো এন্টিরোমান্টিক মেয়ে প্রেমটেম না করেও এসব লেখালেখি সবার মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। নতুন এলাকার এসে আমি খারাপ কিছুতে জড়িয়ে পরছি না তো এ ভেবে বাসা থেকে লেখালেখি বন্ধ করার হুকুম আসে।আম্মু অনেক সন্দেহ করে আর বকাও দেয়।এবার লেখালেখি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। ইংরেজি হোমওয়ার্ক করতে বসলাম।এবারও লিখলাম কবিতা
মন খারাপের দিনে
আমাকে কি পরে মনে
মনে পরার কথা না
অনেক দিয়েছি যন্ত্রণা
এই ভেবেই দিয়েছিলাম মুক্তি
কাজ করছিলো না ইচ্ছাশক্তি
ভালোবাসার পরিমাণ যেখানে সিন্ধু
ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা কি হয় বিন্দু
এতো এতো বিষয় থাকতে কেন শুধু প্রেম বিরহের কবিতা। আমি বিরক্ত, রাগ হচ্ছে আমার। উপলব্ধি করতে পারছি এ কবিতাগুলো কোনটাই আমার লেখা নয়।বিরক্ত নিয়ে পুরো খাতাটা ছিঁড়ে ফেললাম। হঠাৎ উদয়মান হলো একটা বলিষ্ঠ দেহের ছায়া। সুগঠিত সুদর্শন দেহের ছায়া চুল গুলো কিছুটা বড়। রাগে ঘৃণার ভূত দেখেও তখন আমার তেমন কোনো অনুভূতি বা ভয় কাজ করছিলো না। আমি একটাই প্রশ্ন করেছিলাম "এসব আপনি করছেন তাই না?"
সে হাসলো।কি প্রয়োজন উনার জিজ্ঞাসার সাথে সাথেই উধাও হয়ে গেলো ছায়াটা।রাগে বিরক্তিতে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পরি ।সকালে ঘুম থেকে উঠেই আম্মুকে জানিয়ে দেই এগুলো আমার লেখা না আর আমি প্রেমটেমও করি না। এগুলো যার লেখা তার সম্পর্কে বললাম কিন্তু আম্মু বিশ্বাস করলো না। আমিও ভেবে নিলাম রাগে উল্টা পাল্ট কল্পনা করে নিয়েছি। এই ভেবে কলেজে গেলাম। কলেজ ছুটির শেষে কোচিং করে বাসায় আসতে সন্ধ্যা হয়। বাসায় এসে রুমে ঢুকে দেখি সেই ছায়াটা পড়ার টেবিলে বসে আছে আমার। আমি ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলে জিজ্ঞাসা করে "এখন তো তুমি জানো যে তোমার লেখাগুলো তোমার না এবার কি তুমি আমার লেখাগুলো প্রকাশ করবে?”
আমি আনন্দ মিশ্রিত ভয়ে বললাম `অবশ্যই।’এরপর থেকে মাঝে সাথেই ছন্দ বুনে নিয়ে আসতো আমার কাছে। হাজারো শব্দ এনে দিয়ে বলতো কবিতা লিখতে। তবে কবিতা আর শব্দ ছাড়া সে একটা কথাও বলে নি এতোদিন আমার সাথে। এজন্য তার নাম দেই শব্দ’। সকালে আম্মু রান্না করছিলো আর আমি খাবার টেবিলে বসে কেমিস্ট্রি পড়ছিলাম। কলিং বেজ বেজে উঠলে আমি দরজা খুলি দরজার ওই প্রান্তর থাকা ব্যাক্তি সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিলো না কিন্তু তিনি আমাকে দেখে চমকে উঠে জিজ্ঞাসা করলেন" তুমি এখানে কিভাবে?" আম্মু রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আসলে বলেন উনি হলো বাড়িওয়ালি আন্টি। আম্মু উনাকে ভেতরে আসতে বললেন এবং আমাকে চেনেন কিভাবে তা জানতে চাইলে হঠাৎ তিনি বলেন, "বেঁচে আছো তাহলে তুমি?” উনার এমন অদ্ভুত প্রশ্নে আম্মু বিরক্ত হয়ে বললেন "কি বলছেন এসব?”
আমি শান্ত মস্তিষ্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম,
-"আন্টি আপনি কি আমাকে অন্য কেউ ভেবেছেন?"
উনি কান্নায় ভেঙ্গে পরলেন আমি আর আম্মু অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে রইছিলাম। তারপর বললেন অনেক বড় কাহিনী। উনার একমাত্র ছেলের প্রেমিকা নাকি হুবুহ আমার মতোই দেখতে ছিলেন। আর এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন। অনেক ভালোবাসতেন উনারা একে অপরকে। কয়েক বছর আগে কোনো এক শারীরিক অসুস্থতার মারা যায় তার মৃত্যু মেনে নিতে পারে নি। সে মারা যাওয়ার প্রায় মাস খানেক পর গলাত দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমি আর আম্মু চুপ করে শুনছিলাম। আর আন্টি বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরলে আম্মু উনাকে সান্তনা দিচ্ছিলো। আর আমার মাথায় তখন অন্য কিছু ঘুরছিলো। আমি আন্টিকে জিজ্ঞাসা করলাম উনার ছেলে কি লেখালেখি করতেন ? উনি বললেন সে নাকি প্রচুর লেখালেখি করতেন। আমার প্রশ্ন শুনে আম্মু আমার মুখের দিকে চেয়ে রইল। আন্টি চলে গেলেন আমিও কোচিং করতে চলে যাই সন্ধ্যায় রুমে এসে ঢুকতেই শব্দ এ প্রথম আমাকে কোনো প্রশ্ন করলো,
- আম্মু কি এখানে এসেছিলো?
-না আসেন নি।
জানার পরও কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করলে সেটা হয়তো বিরক্তই লাগবে সবার।ধমকের স্বরে বললো
-মিথ্যা কথা পছন্দ না আমার।
-আপনার পছন্দ না তো আমার কি ?জেনে শুনে কেন জিজ্ঞাসা করছেন?
এভাবেই শুরু হয় কবিতার বাহিরের কথা বলা। মাসখানেক চললো।আর আমারও পরিচিতি বাড়লো। আর বিভিন্ন লেখালেখির সাইট থেকে অনেক গিফট্ও আশা শুরু করলো। শব্দের লেখা কবিতা গুলোকে নিজের বলে চালাতে অনেক কষ্ট হতো মন স্বায় দিতো না। আর এর মধ্যে কয়েকজন আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সবার প্রস্তাব প্রতখ্যান করলেও একজন আমার পিছনে পরে ছিলো।
শব্দের সাথে রোজ রাতেই সব কিছু শেয়ার করলে তাকে ওই ছেলের কথা বলি।শব্দ প্রথমেই নিষেধ করে দেয় এসব কিছু না যেতে।তার কথার বিরুদ্ধে গিয়ে আমি সম্পর্কে যাই। কিছু দিন ধরে শব্দের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। বাসায় এসে শুয়ে ঘুমিয়ে যাই শব্দকে কথা বলার কোনো সুযোগ দেই না। আর ডায়েরিটাতে দিনলিপি লিখি কলেজের সময়ে আর কোচিংয়ে। গতকাল ভোরে শব্দ অনেক হিংস্র হয়ে উঠেছিলো। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
-বলে যদি সে এই সম্পর্কটা না ভাঙ্গে তাহলে আমার সাথে খুবই খারাপ কিছু হবে যেটা আমি কখনোই ভাবতে পারি না।
লাল ডায়েরির অর্ধেকের বেশি পৃষ্ঠায় কোনো লেখা নেই ।কিন্তু আমার জানতে খুবই ইচ্ছে এনির কি হয়েছে আর শব্দ ই বা কোথায় এখন।
তার লেখা দিনলিপিগুলো পড়ে শেষ করতে সময় লেগেছিলো মাত্র কয়েক ঘন্টা।
এনির কি হলো? শব্দই বা কোথায় এখন? ডায়েরিটা এখানে কিভাবে আসলো? এসব প্রশ্নই আমার মাথায় ঘুরছিলো। হঠাৎ মনে পরলো ওই বাসার ছাদের মহিলাটির কথা। উনার অদ্ভুত চাহনির কারণটা হয়তো এ বাড়ির সাথে কোনো সম্পর্ক। আমি দেরি না করে ওই বাসায় গেলে উনি আমাকে দেখে অনেক বিরক্ত হলো। -কে তুমি ?
-আমি ইন্সি, পাশের বাসার চারতলায় থাকি।
পরিচয় জেনেও দরজা খুলতে চাচ্ছিলো না। জানি না কেন যেন বললাম
-এনির সম্পর্কে কিছু জানার আছে আমার। প্লিজ দরজাটা খুলুন ।
তখনই দরজা খুললো । ভেতরে প্রবেশ করতে দিলো।
আমি তাকে লাল ডায়েরির ব্যাপারে বললে সে বললো, "সে এনির কলেজের বান্ধবী। লাল ডায়েরির সম্পর্কে সে জানে, ডায়েরির ভিতর কি লেখা আছে তা না জানলেও প্রায়ই এনিকে লিখতে দেখতো এটাতে। এনি এখন কোথায় জানতে চাইলে সে যা জানালো তা শুনে আমি কতটা আশ্চর্য আর ভয় পেয়েছি তা হয়তো কাউকে বোঝাতে পারবো না।
দিনটি ছিলো এনির এ্যাংরেজমেন্টের দিন ।এনিকে যখন নাজিম আন্টি পরাতে নিচ্ছিলো তখন হঠাৎ এনি বা হাতে লুকিয়ে রাখা ধারালো ছুরি বের করে নাজিমকে এলোপাথারি আক্রমন করে, বুকের মাঝখানে থেকে পেট পর্যন্ত ছুরি দিয়ে ছেঁড়ে ফেলে এনিকে আটকাতে গেলে ছুরি দিয়ে সে নিজের মা বাবাকেও আঘাত করে। টাটকা রক্তে ভেসে যাচ্ছিলো রুম। যে যেভাবে পেরেছে সেরুম থেকে বের হয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এনিকে কোনো ভাবেই আটকানো যাচ্ছিলো না তাকে সেই রুমে বন্দি করে পুলিশ কে কল করা হয়। কেউ বুঝতে পারছিলো না হঠাৎ এনি কেন এমন করলো কিছুক্ষণ আগেও কেউ কল্পনা করে নি রক্তের বন্যা দেখতে চলেছে তারা। পুলিশ এসে রুমের দরজা খুললে এনিকে আর জীবিত পাওয়া যায় না। দুই হাতের শিরা কে যেন কেটে রেখেছে নগ্ন শরীর। হাতের অনামিকা আঙ্গুলে হত্যা করছে। হাতের অনামিকা আঙ্গুলে ছিলো একটা রিং। কেউ ধারণা করতে পারছিলো না এনিকে কে মেরেছে। এনি ই বা কেন মারলো তার সবচেয়ে কাছের মানুষজনেরকে নাজিরের পরিবারে তখন শোকের বন্যা হয়ে গেলো। পুলিশ চারটা লাশকেই পোস্টমডেমের জন্য নিয়ে গেলো। এনির বাবা মা নাজিরকে যে এনি খুন করেছে তা প্রমাণ করা গেলেও এনিকে কে খুন করছে তা যেন রহস্য ই থেকে গেলো।
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি লাল ডায়েরিটাকে কেন খোঁজেন নি হয়তো এটা পেলে এনির মৃত্যুর রহস্যের সমাধান পেতেন। সে তখন বললো" আমিও তার রিং বদলের অনুষ্ঠানে ছিলাম ভয়াবহ ঘটনার পুরোটা সময় আমি দেখেছি। এনির খুন করার কারণ আর তার মৃত্যুর রহস্য বের করতে পুলিশ কয়েকবারই এ বাসা তল্লাশি করে কিছুই পায় নি। সেদিন সন্ধ্যায় যারা উপস্থিত ছিলো সবাইকেই আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।আমাকেও করে আমি তাদেরকে বলি ডায়েরির ব্যাপারে।আমার কথা মতো কয়েকবার খোঁজার পরও পায় নি সে ডায়েরি। আমি তার দিকে ডায়েরিটা বাড়িতে দিয়ে বললাম
-এটা কি সে ডায়েরি?
-হুম, এটাই তো। তুমি পেলে কোথায়?
-চিলেকোঠায় ছিলো।
- না, এটা কিভাবে ওখানে?
- আমিও ভাবছিলাম এটা ওখানে কি করে, লাল রং আমার খুব প্রিয় আর যে কোনো লেখালেখিই পড়তে ভীষণ ভালো লাগে।এজন্যই এটা নিয়ে গিয়েছিলাম আর সত্যি বলতে তখন ডায়েরির মালিক কে খোঁজারও কোনো ইচ্ছা ছিলো না।
শব্দের আত্মা এনিকে দিয়ে অন্যদেরকে হত্যা করেছিলো। আর শব্দই এনিকে খুন করে। যে নিজের প্রেমিকার মৃত্যু মেনে নিতে পারে নি বলে নিজেকে হত্যা করে
সে কতটা সাংঘাতিক হতে পারে তা এনি ভাবতেও পারে নি।এনি হয়তো শব্দকে শুধু একটা ভূত ভাবলেও শব্দ এনির মাঝে নিজের হারানো প্রেমিকাকে খুঁজে পেয়েচ্ছিলো।
শব্দ এটা প্রকাশ না করলেও এনিকে হারাতে চায় নি।আর বাকিটা এনির ভাগ্যেই ছিলো।
আমি এনির বান্ধবীকে ডায়েরির ভেতরে থাকা সব কিছু জানালে সে আমাকে সাবধান করে হয়তো শব্দ চায় এটা আমি পড়ি আর এজন্যই আট বছর পর আমার হাতে এ ডায়েরি। এ বিষয়টা ভেবে আমার গায়ে কাটা দিচ্ছিলো ।
কোচিং এ না গিয়ে দুই ঘন্টা এনির বান্ধবীর সাথে এসব বিষয়ে কথা বলছিলাম।
যাবার সময় উনাকে জিজ্ঞেস করলাম
-আপনি কেন ওইদিন আমার দিকে এমন অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে ছিলেন ছাদ থেকে?
-এই ফ্ল্যাটেই এনিরা থাকতো। আমি যেন হঠাৎ তোমার মাঝে এনিকে দেখেছি।
উনার এ কথা শুনে আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসলো। এবার শব্দ আমার সাথে কিছু করবে না তো তা ভেবে বাসায় আসতেই হঠাৎ করে পরে যাই চিৎকার করে উঠি।
বুঝতে পারি এতোক্ষণ সবকিছু স্বপ্নে ঘটছিলো। আমি এখনো কলেজে ভর্তিই হই নি। আর অন্য কোনো এলাকায়ও যাই নি। যাক বাঁচা গেলো এই ভেবে একটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলি।
আর কিছুদিন ধরে আমিও প্রেম বিরহের কবিতা লিখি প্রেমটেম না করেও। ওটা স্বপ্ন হলেও আমি বাস্তবে শব্দের উপস্থিতি সত্যিই অনুভব করি। উপলদ্ধি করতে পারি আমার লেখা কোনো কবিতাই আমার না হয়তো এগুলোও শব্দের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আব্দুর রহমান
লেখা পাঠানোর ইমেইল: sahityapata24@gmail.com