ঈদ মানে আনন্দ ফূর্তি। ঈদ মানে খুশি। ঈদ সবাই খুবই ভালোবাসি। একটি বছর ঘুরে ফিরে আসে ঈদ। তিথী একদিন পড়ার টেবিলে বসে ভাবে ঈদ আসবে কবে? বেশ কিছু সময় পর পড়ার টেবিল থেকে উঠে এসে ক্যালেন্ডার দেখে বলে ঈদ এখনো ঢের দিন বাকি। কয়েকদিন পরে পবিত্র শবে মিরাজ এরপর পবিত্র শবে বরাত রোযা সবার শেষে ঈদুল ফিতর। সময় যেতে সে বসে চিন্তা করল রোযা তো এসেই গেল। এবার ঈদে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়। এই ভাবনাট মাঝে বেশ কিছু সময় পার করলো। ভেবে কিছু পেল না। সেদিন রাতে খেয়ে দেয়ে তিথী ঘুমিয়ে পড়ল। হঠাৎ রাতের বেলায় ঘুম ভেঙে যায়। আর ঘুম যেন আসছিলো না। তখন আবারো ভাবনা শুরু করলো তবুও কিছু ভেবে পাইলো না। তখন মনে মনে বলে উঠলো কালকে সকল বন্ধু বান্ধব দের সাথে নিয়ে একটা পরামর্শ করবে এবার ঈদে কোথায় যাওয়া যাবে। এভাবে ভাবতে ভাবতে কখন তিথী ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেও জানে না। পরেরদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে বিদ্যালয়ে চলে গেল।
ঘুরতে যাওয়া নিয়ে এত আগে ভাবনার কারণ হলো যে রমজানে বিদ্যালয় কলেজ সব বন্ধ থাকবে। তাই এত আগাম প্রস্তুতি। পরদিন বন্ধু বান্ধবের সাথে ভেবে ঘুরতে যাওয়ার স্থান ঠিক করলো। এভাবেই বেশ কয়েকদিন সময় কেটে গেল। সময় যে কেমনে চলে যায় তা বলায় যায় না। দেখতে দেখতে রমজানের রোযা চলে এলো। কাল রোযা শুরু। তিথীর আনন্দ দেখে কে? এত খুশি হয়েছে।
আজকে রাতে সেহরী খাবে কালকে থেকে রোযা দিবে কতো না আনন্দ তিথীর। মুখ ভরা হাসি যেন তাঁর মুখে ধরে না। পরদিন থেকে রোযা শুরু করলো তিথী। রোযার সাথে ভাবে কবে আসে ঈদ। কবে শেষ হয় রোযা। এই ভাবে রোযা শুরু করলো তিথী। দুপুর বেলায় মায়ের সাথে রান্নাঘরের বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তিথী। তবে তিথী বেশ রান্না করতে পারত। প্রতিদিন নানান ধরনের খাবার তৈরী করত। খুবই সুস্বাদু খাবার একবার খেলে যেন বারবার খেতে মন চায়। সবাই মিলে ঠিক করলো রংপুর ভিন্নজগৎ যাবে। সাথে সকল বন্ধু বান্ধবদের সাথে নিয়ে আনন্দ উদযাপন করবে। সারাদিন খুশিতে কাটিয়ে দিবে।