অনেক কিছুই মেনে নিচ্ছি
তাই বলে আবার ভেবো না
মনে নিচ্ছি
মন থেকে নিচ্ছি
মনের ভেতরে নিচ্ছি।
মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া
কখনোই এক নয়
হ্যাঁ, এটা বলতেই পারো,
‘মেনেতো নিচ্ছো।’
হুম, তা আমি অকপটে
দ্বিধাহীনচিত্তে স্বীকার করি
আমার ইমানের জোর কম
হয়তো গায়ের জোরও কম
কত কত ফুল ফোটে প্রকৃতিতে
কিন্তু আমি মুখ ফুটে বলতে পারি না
নজরুলের মতো লিখতে পারি না
আমার বুকের ভেতরের
হাহাকারের কথাগুলো।
কিন্তু ঐ যে বললাম,
মেনে নিচ্ছি তবে মনে নিচ্ছি না।
নরম স্বরে, অকপটে
সরলতা ও গাম্ভীর্য বজায় রেখে
ষোলআনা ভদ্রতার সাথে
জ্বী জনাব, জ্বী স্যার, জ্বী হুজুর
বলে মেনেই নিচ্ছি।
জানি, আমি অধম
মেনেই নিচ্ছি
মেনেই নিচ্ছি
মেনেই নিচ্ছি
কিন্তু তুমি নরাধম
এতটুকু বুঝতে পারো না?
মনে নিচ্ছি না
মনে নিচ্ছি না
মনে নিচ্ছি না।
এটাই বা কম কীসে।
হয়তো আমি প্রতিবাদী নই
বিপ্লবী নই
জাগরণের অগ্রদূত নই
তবে
তোমার চাপিয়ে দেওয়া তন্ত্র মন্ত্র
আমাকে বশ করে না
কেবল অবশ করে।
তোমার শোষণ
স্বৈরাচারতন্ত্রের যাঁতাকলে
আমি রাজপথের মতো
কেবলই পিষ্ট হচ্ছি
তবু তুমি বেহায়া বেশরম
মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া বোঝো না।
আমি মনে নেই না, মেনে নেই
বলো, কেমন করে মনে নেবো
যেখানে কোনো ভালোবাসা নেই।