• আজ- রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

মধু রপ্তানীর মহাক্ষেত্র হতে পারে সুন্দরবন

লেখক : / ৫০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
sundarban
sundarban

add 1

সুন্দরবন অনন্য অসাধারন সৌন্দর্য আর সম্পদের এক সুবিশাল সম্রাজ্য। বহুবিধ জীব বৈচিত্রের সমারোহ আমাদের এই প্রিয় সুন্দরবন। আমাদের এই প্রিয় সুন্দরবনে বসবাস কর হিংস্র প্রানি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আবার আবাসস্থল মায়াবী হরিনের সব মিলে এই বনকে অনেকের কাছে বাঘের সম্রাজ্য বা বাঘের আবাসস্থল এর সব কিছুকে ছিন্ন পরবর্তি এই বনের নাম মধু বন। প্রকৃতির অপরুপ সৃষ্টি বন অভ্যন্তরে মৌমাছিদের বসবাস, ক্ষুদ্রাকৃতির মৌমাছির দল বন অভ্যন্তরের গহীন জঙ্গলে মৌচাক তৈরী করে এবং উক্ত মৌচাকে তারা মধু সংরক্ষন করে। শত শত ভচর যাবৎ সুন্দরবনের মৌমাছিদের আবাস স্থল এবং সুন্দরবন সংলগ্ন অধিবাসিদের একটি অংশ বন অভ্যন্তরে মধু সংগ্রহের জন্য অবস্থান করে। সদ্যশেষ হয়েছে মধু সংগ্রহের মৌসুম, এপ্রিল হতে জুন এই তিন মাস মৌয়ালরা সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করে থাকে। সুন্দরবনের মধু ঐতিহ্য আর গুনগত মান অপেক্ষা অন্য যে কোন মধু অপেক্ষা শীর্ষে। বন অভ্যন্তরে অন্তত চার হাজারের অধিক মৌয়ালের মৌসুমে মধু সংগ্রহের জন্য গমন করে।

সুন্দরবন দৃশ্যতঃ বাঘের অবস্থান বলা যায় বাঘের দেশ। মৌয়ালরা জীবন হাতে রেখে মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনে গমন করে এক কথায় বলা যায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে অবস্থান করে মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ করে। হাজার হাজার মৌয়াল পরিবার মধু সংগ্রহের মাধ্যমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কেবল মাত্র সুন্দরবনের মধু আর মৌমাছি হাজার হাজার পরিবারকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মধু দৃশ্যতঃ মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এবং অপরিহার্য। বিভিন্ন রোগের মহাঔষধ হিসেবেও মধুর ব্যবহার দীর্ঘ দিনের। মৌয়ালদের জীবন যাত্রা এবং মধু সংগ্রহের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে এপ্রিল মাস শুরু হওয়ার পূর্বেই মৌয়ালদের প্রসূতি শুরু হয়। নতুন নৌকা সংগ্রহ বা তৈরী বা পুরাতন নৌকার সংস্কার, পরিবার পরিজনেরজন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী সহ অপরাপর প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করার সাজ শুরু হয়। কিন্তু অর্থ কোথায়? নৌকা তৈরী বা সংস্কার এবং পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী স্থানীয় ভাষায় যাকে খোরাকি বলা হয়। এগুলো সংগ্রহে মৌয়ালরা ধারই করে এবং ঋণী হয়। গ্রাম্য মহাজন বা সুদ ব্যবসায়ীদৈর শরনাপন্ন হতে হয়। ঋন সই করে নৌকা তৈরী ও সংস্কার পরবর্তি বনঅভ্যন্তরে প্রবেশ পরবর্তি জীবন বাজি রেখে মধু সংগ্রহ কারী মৌয়ালরা যখন জনপদে ফেরে তখন প্রথমেই তাদেরকে মহাজনের ঋন পরিশোধ করতে হয় সুদে আসলে। বাদ বাকি মধু বিক্রির টাকায় কিছুদিন সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু অভাব তাদের সঙ্গী থেকেই যায়। মৌয়ালদেরকে প্রনদনা দেওয়ার সময় এসেছে একই সাথে আর্থিক ভাবে বিনাসুদে ঋনের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে। মৌয়ালদের ভাষ্য জেলেরা সাগরে ও নদীতে মাছ আহরন বন্ধ কালীন সময়ে সাহায্য পেলে এক্ষেত্রে তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। সুন্দরবনের মধু বৈদেশিকমুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আর তাই অবশ্যই মধু সংরক্ষনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। একমাত্র খাটি এবং সুস্বাধুমধুর আবাস স্থল সুন্দরবন, মধু রপ্তানীর বিষয়ুিট বিশেষভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। মধুবন মধুর মহাক্ষেত্র আরতারমাধ্যম মৌমাছি বিধায় মৌমাছিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল করতে হব্ মৌয়ালদেরকে বিশেস প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন মৌমাছি ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। একটি চাকের অংশ বিশেষ রাখার মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করলে উক্ত চাকে আবারও মৌমাছি অবস্থান নিতে পারে। সুন্দরবনের মধূ অর্থনীতিতে অধিকতর প্রভাব রাখুক এই প্রত্যাশা।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (সকাল ৬:০২)
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬
  • ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ (শরৎকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT