সত্তরের ঘরে বয়স এলো, আশ্রয় হলো পথ
যাদের ভূমিষ্ঠ করলো বুড়ী, তারাই ধরেছে স্বার্থের রথ।
অনাহারে ভুগছে বুড়ী, পেতেছে দু’হাত
ধনসম্পত্তি চায় না বুড়ী, চাইছে এক মুঠো ভাত।
চেয়ে চেয়ে কাটছে জীবন, তাকে দেখে কাঁদছে ভুবন
মীরজাফরদের দীক্ষিত করতে, নিঃস্ব আজকে বৃদ্ধ জীবন।
গর্ভে ধরে, আগলে রেখে, শেখালেন যিনি বুলি
আয়ের পাল্লা ভারী রাখতেই, মাকে বানালো উদ্বাস্তু কুলি।
হাঁটতে পারে না বুড়ী মা টা, শীতে কাঁপছে দেহ
প্রভুকে ঢেকে আক্ষেপ করে, এক মুঠো ভাত দেয় নি কেহ!
ঝর্ণার ন্যায় পড়ছে জল, নয়নে পড়েছে কালি
সত্তরের ঘরে উপাধি মিলেছে, বুড়ী হয়েছে ভুবনের মালি।
ভুলে গিয়েছে উৎসবের আমেজ, অতীত হয়েছে সাধ
সোনার হাতের সোনার সংসারের সাথে তৈরি হয়েছে বাঁধ।
নির্ঘুম কাটে বিনিদ্র রজনী,আক্ষেপকে দেয় ছুটি
কল্পনাতেই হেসে বলে, নারি ছেঁড়া ধন এসেছে দুটি!