বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। যদিও সরকার মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, বাস্তবতায় সেই দাম বাজারে প্রতিফলিত হচ্ছে না। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও, খুচরা বাজারে তা ১৮০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোনালি মুরগির ক্ষেত্রেও একই চিত্র, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামও সরকার নির্ধারিত ১৪২ টাকার তুলনায় খুচরা বাজারে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি শুধু মুরগি ও ডিমের ক্ষেত্রে নয়; অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পেঁয়াজ, চাল, আটা, এবং রসুনের দামও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ১১০ টাকায় পৌঁছেছে, যা সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও ক্রেতাদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবজির দামও বাড়ছে- বেগুন, ঢেঁড়স, পটোল, লাউ, এবং ধনেপাতার মূল্য গত কয়েক দিনের মধ্যে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সরকারের নির্ধারিত মূল্য কেন বাজারে কার্যকর হচ্ছে না? মূল সমস্যা সম্ভবত বাজার তদারকির ঘাটতি এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির মধ্যে নিহিত। সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেওয়া হলেও, সেটি যদি কার্যকরভাবে বাজারে প্রয়োগ না হয়, তাহলে ভোক্তারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে ক্রেতারা প্রতিদিনের খাদ্যসামগ্রী কেনায় হিমশিম খাচ্ছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু মূল্য নির্ধারণ করে দায়িত্ব শেষ করলে চলবে না; বাজারে পর্যাপ্ত মনিটরিং, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং সরবরাহ চেইনের অপ্রয়োজনীয় জটিলতা দূর করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষ আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়বে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি শুধুমাত্র বাজারের সমস্যার নয়, বরং সরকারের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলছে।