এক বনে অনেকগুলো সিংহ বসবাস করতো অন্যদিকে একই বনে একটি হরিণের পরিবার বসবাস করতো। হরিণের পরিবারে দুইটি বাচ্চা ছিল। একদিন হরিণের বাচ্চা দুইটি খেলা করতে করতে বনের একটু দূরে চলে গেলো। একটা বাচ্চা একটু সামনে অন্য বাচ্চাটা যুপের আড়ালে ছিল। অন্যদিকে জঙ্গলের সিংহগুলো ছিল বাচ্চাগুলোর চারপাশে, তারা ছিল খুব ক্ষুধাত, অনেক দিন যাবত তেমন খাবার খাইনি। তখন একটা বাচ্চাকে সিংহগুলো দেখতে পেল। বাচ্চা টিও সিংহ গুলোকে দেখতে পেল। কিন্তু বাচ্চাটা সিংহগুলোকে অন্য জাত হলেও স্বাভাবিক চোখে দেখেছে কিন্তু সিংহগুলো বাচ্চা টাকে দেখছে ভিন্ন চোখে। সিংহগুলো ভাবছে কাছে আসবে আর তাকে গিলে খাবে। হঠাৎ বাচ্চা টা কিছু খন পর হাটতে হাটতে কাছে আসলো অন্য বাচ্চাটা ঝোপের আড়াল থেকে দেখছে কি হচ্ছে। সিংহ ভাবছে এটাই স্বর্ণ সুযোগ। সিংহগুলো বাচ্চা টার কাছে স্বাভাবিক ভাবে আসতে লাগলো আর বাচ্চা টাও তাদের কাছে কিছু না ভেবে মিশতে গেল এই সুযোগে সিংহ গুলো এক থাবায় মেরে ফেল। অন্য বাচ্চা টা তার সাথে থাকা বাচ্চার সাথে কি ঘটেছে সব দেখলো এবং বুলতে পেল কার সাথে মিশা যাবে কার সাথে মিশা যাবে না..!
উপরে ঘটনা থেকে একটাই বুঝাতে চেয়েছি..
বন হচ্ছে আমাদের সমাজ। আমাদের সমাজের অবস্থা এখন বর্তমানে অনেক ভয়াবহ সিংহ হচ্ছে পুরুষ জাতির। আবার সব পুরুষ জাতির কথা উল্লেখ করিনি। সেই পুরুষ জাতির কথা উল্লেখ করেছি, যারা দেখতে পুরুষের মতো কিন্তু পশুর মানসিকতা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সে নামে পুরুষ কাজে সে বিবেকহীন পশু । অন্যদিকে, হরিণ বলতে নারী জাতিকে বুঝাতে চেয়েছি। আর ঝোপের আড়াল মানে বুঝাতে চেয়েছি পর্দাকে।
নিচে ঘটনাটি বিশ্লেষণ করছি…
একটি পরিবারের দুইটি মেয়ে। একটা ছিল মেয়ের নাম রুমা, অন্য টার নাম ছিল সুমা। সুমা মেয়ে ছিল নম্র ভদ্র ও পর্দা শীল। অন্য দিকে রুমা মেয়ে ছিল একটু খোলামেলা ভাবে চলাফেরা করতো। -রুমা ভাবলো আমাদের সমাজ টাকে একটু ভালো ভাবে দেখবো এবং তার সাথে থাকা নম্র ভদ্র মেয়ে টা কে বলো মানে সুমাকে । কিন্তু সুমা রাজি ছিলো না তবু রুমা,সুমাকে তাকে জোর করে রাজি করালো। কিন্তু নম্র ভদ্র সুমা, রুমাকে টা একটা শর্ত দিলো। শর্ত হচ্ছে আমি তোমার মত চলা চল করতে পারবো না। সে অনুযায়ী সে রুমা রাজি হলো। রুমা সব সময় নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করে চলা চল করে। অন্য দিকে নম্র ভদ্র শীল মেয়ে টা নিজেকে আড়াল করে চলতে চেষ্টা করে। খোলা মেলা টাইপের মেয়েটি রুমা সমাজের সব ধরনের মানুষের সাথে মিশতে চাই। সে তো জানে না সমাজের অবস্থা যে কতটা ভয়ংকর। একটা সময় শেষে রুমা সে কাপুরুষদের চোখে পরে। সে মানুষ রুপে কাপুরুষগুলো ভাবছে যে ভাবে হোক তাকে গ্রহণ করতে হবে। রুমা যখন রাস্তা দিয়ে চলে তখন ঐ কাপুরুষগুলো ওঁৎপেতে থাকে এবং নানাভাবে বিরক্ত করতে থাকে। কারণ তারা ক্ষুধাত! একটা সময় রুমা অসহায়ের মত নিরুপায় হয়ে হার শিকার করে নেয়। যেটা বলা হয় বর্তমান সমাজে রিলেশন বা প্রেম ভালোবাসা। সত্যি বলে বর্তমানে কোনো প্রেম ভালোবাসা নাই বলে চলে । প্রেম ভালোবাসা নামে কিন্তু কাজ হচ্ছে অন্য টা যাকে বলা হয় শরীরক চাহিদা পূর্ণ। একটা সময় সে মেয়ে হয় সমাজের সবচেয়ে বাজে একটা মেয়ে। অথচ যার পেছনে রয়েছে পুরুষ নামে কাপুরুষ তাদের কে কেউ দোষারপ করে না। আজ সে মেয়ে টি স্থান সমাজের এবং পরিবারের লোকের কাছে একে বারে নিচে। অবশেষে সে মেয়ে টি মৃত্যু নাম পর্থ বেছে নেয়..! অন্য দিকে সুমা তার বোন রুমা সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো দেখছে এবং অনুভব করলো কিন্তু তার কিছু করার ছিল না। এবং বুঝতে পেলেন সামনের পর্থ গুলো কিভাবে অতিক্রম করতে হবে।