মেয়েটির নাম সুলতানা। ছেলেটির নাম সাকিব, সে একজন ছিনতাইকারী। গ্রামের নাম ভবানীপুর। গ্রামের একটি মেয়ে দুবাই থাকে তার মা অসুস্থ তাই পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে ইয়ারপোটে হঠাৎ সে দেখে একটা লোক অনেক কান্নাকাটি করছে সাকিব নামের এই লোকটা।
সুলতানা : ভাইয়া কান্না করতেছেন কেন।
সাকিব : বোন আমার একটা ভাই দুবাই চলে গেছে, দুবাই না কি অনেক কষ্ট বোন।
সুলতানা : হুঁ তবে সব দেশেই কষ্ট।
সাকিব: তোমার বাসা কোথায়।
সুলতানা : ভোলা দৌলতখানে। ভাই আপনার।
সাকিব : আমার ও তো দৌলতখানে ভবানীপুরে, বোন কি বাড়িতে যাবে ।
সুলতানা: হুঁ ভাই।তবে আপনি চলে যান।
সাকিব : আপু মনে হয় আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না।
সুলতানা : আসলে ভাই তা না।
তারপর দুজনে বাসে উঠলো অনেক পথ আসার পর
সুলতানা : ভাই আমার খুব খিদে পেয়েছে।
সাকিব : ঠিক আছে বোন আমি খাবার নিয়ে আসতেছি ।
এদিকে সাকিব খাবারের মধ্যে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে সুলতানার সব টাকা পয়সা সহ সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওরে অচেতন অবস্থায় তার বান্ধবী হাসপাতালে ভর্তি করে । তারপরে সুলতানা থানায় একটি জিডি করে । অন্য দিকে তার মা বলে মা তুই আমার চিকিৎসা করাবি না সুলতানা বলে হুঁ মা । অন্য দিকে, সুলতানা প্রতিদিন ইয়ারপোটে চলে যায় সেই প্রতারকের খোঁজ অবশ্য পেয়ে যায় তার ঠিকানায় গলে সে তাকে দেখে পালাতে থাকে। একদিন থাকে ধরে সুলতানা এবং বলে তুই আমাকে ভাই বলে আমার সবকিছু কেড়ে নিলি কিভাবে । এই বলে ওরে মারা শুরু করলো সুলতানা মারতেছে আর বলতেছে তুই আমার মায়ের চিকিৎসার করার টাকা ফেরত দে । তারপর সাকিব বললো তুমি যে দেখছো আমাকে আমিও একদিন দুবাই থেকে এই ইয়ারপোটে একদিন আসলে তোমার মতো আমারো সবকিছু নিয়ে যায় এই দালাল চক্র আর সেদিন থেকে লক্ষ্য ছিল এই দলকে আমি শেষ করে দেবো তাই এই পথে আশা তারপর বললো তোমার টাকা তো আমার কাছে নেই আমার বস এর কাছে টাকা চলো নিয়ে দিতেছি।
সাকিব : বস ও অনেক গরিব ওর টাকা টা ফেরত দেন ৯০ হাজার টাকা।
বস : আমাদের কাছে টাকা আসলে আর ফেরত দেই না ।
তারপর দুজনকে আটক করে ফেলে দালাল চক্র।
সুলতানা লুকিয়ে ফেসবুক লাইভে সরার সহযোগিতা কামনা করলে তা দেখে পুলিশ হাজির এবং দালাল চক্র কে আটক করে ফেলে।
সুতরাং, এই যে মানুষ গুলো দেশের বাইরে থেকে অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের কত উপকার করে অথচ তারা দেশের ফেরার পথে ইয়ারপোটে এই মানুষ গুলো কখন ও মলম পার্টি কখন ও অজ্ঞান পার্টি এবং কখনো ও ছিনতাই কারীর কবলে পরে এবং সর্বোচ্চ হারিয়ে নি:স্ব হয়। আমার সরকারের কাছে একটাই চাওয়া তারা যেনো প্লেন থেকে নেমে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে এবং নিরাপদে যেনো বাবা মায়ের কোলে যেতে পারে।