আমাদের দেশে শীতকালে পিঠাপুলির ধুম পড়ে যায়। শীতকালে পিঠাপুলির উৎসবে ছুটে আসা হয় গ্রামের বাড়ি। এসময় সবার ঘরে ঘরে সোনালি ধান থাকে। সেই ধান ঢেঁকিতে ভানা হয়। সেই চাল আবার ঢেঁকিতে গুড়ো করে আটা তৈরী করা হয়। তৈরী করা হয় নানান রকম পিঠা পুলি। পিঠাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি তাদের সুন্দর নাম ও আছে তেল পিঠা, পুলি পিঠা, ফুল পিঠা, দুধ পিঠা, রুটি পিঠা, খেজুর পিঠা, নুনাস পিঠা, ডিম পিঠা,ভাপা পিঠা চিতই পিঠা,পাটিসাপটা পিঠা দুধ পিঠা ইত্যাদি ধরনের পিঠা পুলি তৈরী করে খাওয়া হয়। এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া হয়। শীতকালে সকাল বেলায় মিষ্টি রোদে গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি বাবা-মা বোন সহ গিয়েছি গ্রামের বাড়িতে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি নানী পিঠা তৈরী করছেন। আমি উঠে দাঁত ব্রাশ করে নানীর পাশে বসে পিঠা খেতে শুরু করলাম। এ সময় মামাতো ভাই সজীব ও শাহপরান আসলো তাদেরকে দেখে তো আমি অনেক খুশি। তাদের সাথে নিয়ে পিঠা খেলাম। খাওয়ার সময় নানী অন্য পিঠা তৈরী করতে লাগলেন।
সজীব: নানী কি পিঠা তৈরী করছো?
নানী: এ পিঠার নাম ফুল পিঠা।
শাহপরান: নানী এ পিঠা তৈরী করতে কি কি লাগে?
নানী: আটা, গুড়, তেল, খেজুর কাটা,ইত্যাদি জিনিসপত্র।
সজীব: ওহ। কতক্ষণ লাগবে পিঠা তৈরী হতে।
নানী: অল্প কিছু সময় লাগবে।
তিথী: নানী আমি পিঠা বানাতে সাহায্য করবো।
নানী: অবশ্যই দেখছিস না আমি একা করছি। সাহায্য করলে তো ভালো হয়।
তিথী: আচ্ছা।
শাহপরান: তিথী আপু তুমি আমায় একটু ভাপা পিঠা বানিয়ে দিও তো।
তিথী: এখন
শাহপরান: না। এখন তো অন্য পিঠা তৈরীতে দাদীকে সাহায্য করছো। পরে দিও।
তিথী: আচ্ছা।
সজীব: শাহপরান ভাই আসো আমরা ততক্ষণে একটু হাটাহাটি করি।
শাহপরান: চলো। পিঠা তৈরী হলে তিথী আপু ও দাদী ডাক দিবে।
সেতু: আমি চলে এলাম।
সজীব: ভালোই হলো।
শাহপরান: সবাই মিলে একসাথে পিঠা খাওয়া যাবে।
সবাই মিলে গল্পের মাঝে কিছু সময় কেটে গেল। এরপর নানী পিঠা তৈরী শেষ করলেন। সবাই মিলে তিথী আপু ডাকলেন। এসে সবাই একসাথে পিঠা খাওয়া শেষ করলাম। কিছুদিন সেখানে থাকলাম, নানারকমের পিঠা পুলি খেলাম, আমাদের এই দেশে বিভিন্ন স্থান বিভিন্ন পিঠাপুলিতে বিখ্যাত।