তিমিরে তিমিরে,
পথে প্রান্তরে
ছুটিছে কত মানুষ দারিদ্র্যের চাপে।
কত শিশু, বৃদ্ধ, বণিতা,
সরণি উপরে রাত্রি যাপন করিছে হিসাব নেই তা ভাগ্যের নির্মম কষাঘাতে।
জীর্ণ, শীর্ণ শরীর মলিন বস্ত্র, ঠাণ্ডায় কাপছে অবিরত নাই কোনই আশ্রয়।
দিবা নিশী সাদায়, নাচিছে প্রকৃতিরও খেলায় শরীর গরম করার কিছুই নাই।
পেটে ভাত নাই, পরোনে বস্ত্র নাই ডুবে আছে তারা দারিদ্র্যের অতলও সাগরে।
বসছে যারা উচ্চাসনে, ব্যতিব্যস্ত সদায় বিলাস বহুল জীবনযাপনে “তাদের” দেখার কেউই নাই যে!
সরণিরও মাঝে, অসহায় মানুষ ভাসে দুই নয়নেরও জলে।
প্রতিপত্তিবান ব্যক্তি যত, অপচয় করে অবিরত খেতে না পারলে দেয় ফেলে।
মাথা গোজার ঠাঁই নাই, শীতের বস্ত্র চায় হাত পাতে ভদ্র মানুষেরও কাছে।
এক টাকা দিতে হায়, হৃদয় চমকে যায় যদিও গাড়ি বাড়ি আছে।
জীর্ণ কুটির তার, দিবানিশী করে হাহাকার মিশে গিয়ে দারিদ্র্যতায়।
অসহায়, অপারকতায়, নিত্য থাকে চেয়ে মৃত্যুর প্রতিক্ষায় শুধুই একটু আহার, বসন চায়।