তোমার মনে আছে সখি….
সেই মধ্য নিশির জল জ্যোৎস্না দেখার কথা?
মনে নেই ভুলে গেছ তাইনা..?
আমি কিন্তু ভুলিনি,আজো অকপটে রয়েছে সবি
আজো আমার স্মৃতিচারণে গাঁথা।
এক মধ্য গহীন নিশিতে হঠাৎ তুমি আমাকে নাম ধরে ডেকে বলেছিলে..
এই শুনছো কি হলো শুনতে পাচ্ছো..?
আমি অসাড় দেহে তন্দ্রাচ্ছন্ন ঢুলুঢুলু নয়নেতে
বলেছিলাম হুম শুনছি বলো…
তুমি বললে.চলোনা একটু ছাদের উপরে যায়
দেখো..বাতায়ন পানে চেয়ে বাহিরে…
এই মধ্য নিশিতে সারাটা ধরণী জুড়ে কেমন
জল জ্যোৎস্নারা মেলা বসিয়েছে..।
আমি কখনো জল জ্যোৎস্নার মেলা দেখিনি
আজ তোমার সাথে সারাটা রাত জেগে দেখবো
কি হলো উঠো..এই কি হলো উঠোনা..
তারপর তুমি সেই জল জ্যোৎস্না দেখবে বলে
সেই রাতে ধরলে সেকি বায়না .।
আমি নিদ্রাটা টুটাই গা- ঝাড়া দিয়ে উঠতেই
তুমি গদগদ ভাব করে
অনেকটা আহ্লাদী কন্ঠে আমাকে জড়িয়ে বুকের উপর তোমার মাথাটা রেখে
মস্তকের চুল গুলোর ভিতর আঙ্গুল গুলো দিয়ে
বিলি কাটতে কাটতে বললে..
এই..আমার জন্য আজকের এই রাতটুকু তুমি জাগতে পারবেনা বলো..
কি হলো বলোনা..জাগতে পারবেনা..?
আমি ওষ্ঠাদ্বয়ের কোণে হাসি টেনে বলেছিলাম
কে বলেছে পারবো না হুম..?
তোমার জন্য আজকের এই রাতটুকু কেনো..?
জীবনে এমন শত, সহস্র রাতও আমি
তোমার জন্য নির্দ্বিধায় জেগে কাটিয়ে দিতে পারি
যদি তুমি ভালোবেসে মায়ার আঁচলে জড়িয়ে
এভাবে আমাকে ধরে রাখো..।
দেখো..আজো জল জ্যোৎস্নারা মেলা বসাই রাতে
শিউলি ফুলের সুভাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পবন,
আজো কিচির মিচির করে ডেকে
রাতজাগা পাখি গুলো আন্দলিত করে অরণ্য বন
ঝিঁঝিঁ পোঁকা গুলোও সন্ধ্যা রাত হতে
বাড়ির আশেপাশে গর্তে ডাকতে থাকে সারাক্ষণ।
আজো আমি জেগে কাটাই নিশি
শুধু তোমার সেই জায়গা আজ শূন্য পড়ে রয়েছে
বিশ্বাস না হলে তুমি একবার এসে দেখো…।