আমার চাষী ভোর সকালে পান্তা মুড়ি খেয়ে ;
দুপুরের খাবার নেয় চাষি গামছায় মুড়িয়ে।
এক কাঁধেতে গামছা লাঙ্গল আরেক কাঁধে মই;
এক হাতেতে গরুর রসি অরেকতে সিপা লই।
চাষির পেছনে চাষির ছেলে হাতে পানির পাত্র;
কোছাতে তার মুড়ি আছে, সন্দেহ নাই মাত্র।
গরু নিয়ে এগোচ্ছে আর চাচ্ছে পিছনদৃষ্টি তুলে;
খেলার ছলে ছোট্ট ছেলে হাটছে হেলেদুলে।
ক্ষেতের আইলে গামছা খাবার পানির পাত্র থুই;
গরুর কাঁধে শক্ত করে বাঁধছে চাষা মই।
কাঁচি খানা চাষা এসেছে বাড়িতে ফেলে;
বলছে বাবা, একদৌড় আন দেখি তুলে।
চাষার ছেলে দৌড়ে গেল কাঁচি খানা আনতে;
দেরি হওয়ার চাষা ছাড়ল গালি বউয়ের অজান্তে।
এবার চাষা টানছে গরু ছেলে তার মই য়ে বসে;
স্বচ্ছ প্রানে, সেচ্চানন্দে ছেলে. দাঁত দেখিয়ে হাসে।
ভরদুপুরে গরুগুলো খালের পাড়ে ছেড়ে;
বাবা ছেলে করছে ভোজন কলাপাতায় করে।
খাবার শেষ চাষি বেচারা ফের দিচ্ছে চাষ;
ফেরার পথে গামছায় বেঁধে নিচ্ছে কিছু ঘাস।
এমন করে চাষি ব্যাচারা খেটে মরে মাঠে;
বাড়ি ফিরে গোসল সেরে ছুটে চাষা হাটে।
পরের দিনের বাজার চাষা আগের দিন কিনে;
রাতটুকু আরামে কাটায় খেটে মরে দিনে।
এমন করে গরীব চাষা কাটায় প্রতিদিন;
পরিশোধ করিবে কে, এই চাষার ঋণ।