জীবনের খেয়াপার
কখন কি করে বদলায়-
কে জানে না কোথায় ?
এপার হ’ তে ওপারে গিয়ে
কেউ আর কভু আসে না ফিরে।
ভেঙ্গে যায় জীবনের খেলাঘর-
কষ্টের পাহাড় ভেঙ্গে-
সমুদ্রের বুকে জেগে উঠে বালুচর।
অজানা ঢেউগুলো সহসাই খুঁজে পায় তীর-
ভাসমান গাঙচিল বালুচরে বাঁধে নীড়।
জলকেলি রত অসংখ্য শঙ্খ-
আশা জাগানিয়া তীরে এসে করে ভীড়।
জীবন নাট্যের পাতায় উকি দেয় শেষ অঙ্ক।
ছোট্ট ছোট্ট লাল কাকড়া সারি বেঁধে
উঠে আসে জলের গভীর থেকে মাটিতে।
প্রকৃতির শিল্পী কত ছবি এঁকে যায়
হৃদয়ের ক্যানভাসে নিভৃতে।
শঙ্কিত আশা ভরসায় বাসাবাঁধে হেথায়
ক্লান্ত ডানার সব পাখি।
অনেকটা পথের শেষে
শ্রান্তির পরশ পায় ওদের নির্ঘুম আঁখি।
সঞ্চারিত হয় ছীবন সবুজ পাতায়-
লতাগুল্ম আর বৃক্ষের শাখা- প্রশাখায়।
এমনি করেই জলধির বুকে-
অরণ্যচারী প্রানী গড়ে তুলে তার অধিবাস।
আয়ুরেখা ধরে এগিয়ে যায় মহাকাল সুখে-দুখে।
ঘনকৃষ্ণ মেঘ ঢেকে ফেলে নীলাকাশ।