খড় কুটোর ঘর
ঘর তো নয়-
এক বোঝা কষ্টের পাথার।
দিনান্তে ফূরিয়ে যায় বেলা। অবেলায়।
ঘর আর বাহির
বুঝা ভারী ভার।
দুঃখের অনলে জ্বলে অন্তর।
মাথার ওপরে ভাসমান
দু’খানা চাল।
এইটুকু পাওয়া-
তাও মনে হয় বড়োই বেমানান ।
শিবসার জলে ছুঁয়ে আসা বাতাস
ধেয়ে আসে যায়।
দুর্বিনীত তার অভিলাষ
কোথাও বাধা নাহি পায়।
হারিয়ে যায়—-
জল-রোদ্দুর, মেঘ জোছনায়।
রোদ-বৃষ্টি, ঝড়
করেছে আপন-
খড় কুটোর ঘর।
এমনই তার অঙ্গের অলংকার
সব দিকেই তার খোলা দুয়ার।
হেথায় করেছে নোঙর
গুহা মানবের-
এক জোড়া বংশধর।
কে জানে কত আকালের
স্বাক্ষর,বইবে তারা সারাটি জীবনভর।