না..আমি আর কাঁদবো না..কেনো কাঁদবো আমি?
কি হয় ওরা আমার.. ওরা কি আমার স্বদেশী?
নাকি ওরা কেউ আমার বাপ, চাচা, ভাই, মা, বোন
নাকি ঐসব শিশুরা আমার সন্তান?
নাকি ওরা কেউ আমার খুব কাছের আপনজন?
কেউ না..কিচ্ছু হয়না..ওরা আমার
তবু কেনো যে দুটি চোখের জল বাঁধ মানছে না…
ঐসব অবুঝ শিশুদের মৃত্যু দেখে…
কেনো যে বুকের পাঁজর ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাচ্ছে,
কলিজা ফেটে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে?
বুকের মধ্যে উতালপাতাল বাঁধ ভাঙ্গা ঢেউ ওঠে
কেনো যে দু, চোখে জল উপচে পড়ছে?
যখন দেখছি মানবতার সীমা লঙ্ঘন কারী
ইজ্রায়েলের ঐসব পাষণ্ড নির্দয় নিষ্ঠুর জালেমরা
অমানবিক ভাবে তপ্ত পারমাণবিক বোমা
ছুঁড়ে মারছে ফিলিস্তিন গাজা উপত্যকার দিকে
আর সেই বোমার অগ্নি বারুদে ঝাঁঝরা হয়ে
নিষ্পাপ ফুলের মত কচিকাঁচা ছেলেমেয়ে গুলো
পুঁড়া দগ্ধ দেহের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে
একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে,
আর তাদের আপনজনদের বুকফাটা আর্তনাদে
আকাশ বাতাস কম্পিত হয়ে উঠছে।
তখন, সত্যিই পারছিনা দু,চোখের জল ঠেকাতে
উঁহু! কি নির্মমতা..কি পাশবিকতা..কি নৃশংসতা!
কতোটা লোমহর্ষক কতোটা হৃদয় বিদারক ঘটনা
মানুষ কত হিংস্র হলে এমন করতে পারে..
বিশ্বের কর্ণধার যারা সব মানবতার বুলি আউড়াও
তাদের বলছি ধর্ম বর্ণ জাত কুল ভুলে
মনুষ্য বিবেকে এগিয়ে এসো বাঁচাও ঐ শিশুদের।