আব্দুর রহমান: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ প্রশাসন সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগে স্বচ্ছতা ও প্রতারণামুক্ত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রার্থীদের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে জানিয়েছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে।
সাতক্ষীরার মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ বিভাগে নিয়োগ একটি বিশেষ গুরুত্ববহ বিষয়। এখানে জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষ ও যোগ্য পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত বেশি। জেলার একাধিক সীমান্ত পয়েন্ট এবং অপরাধপ্রবণ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে দালাল বা প্রতারকদের দৌরাত্ম্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিশুদ্ধতা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। তাই, জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগ প্রার্থীদের কাছে স্বপ্নপূরণের স্বচ্ছ ও সুস্থ পথ উন্মোচিত করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রার্থীদের দালাল বা প্রতারকদের সাথে যোগাযোগ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কেউ যদি চাকরির আশ্বাসে অর্থ দাবি করে, তৎক্ষণাৎ পুলিশকে অবহিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। বরং দালালদের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা যাতে শূন্যের কোটায় থাকে, সে জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকেই সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া বাড়তি কোন টাকা দিতে হবে না, এ বার্তাও তিনি সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
সাতক্ষীরার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের সতর্কতা খুবই জরুরি, কারণ আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকি এখানে অনেক বেশি। দূরদর্শী এবং অভিজ্ঞ একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রার্থীদের যথাযথভাবে সচেতন করে তোলার এই প্রয়াসকে দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা যেতে পারে। তার নেতৃত্বে এই উদ্যোগ শুধু পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়াই নয়, পুরো সমাজকেই প্রতারণামুক্ত করার পথে একধাপ এগিয়ে নেবে।
পুলিশে নিয়োগের এই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ভবিষ্যতের আইনের রক্ষক হিসেবে সৎ, দক্ষ এবং সাহসী প্রার্থীদের জন্য এক সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। পুলিশ সুপারের বার্তায় যে সতর্ক বার্তা উঠে এসেছে, তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে প্রতিফলিত হলে, অযোগ্য এবং প্রতারক চক্রের জন্য এখানে কোন জায়গা থাকবে না। এর ফলে প্রার্থীদের মধ্যে এক নতুন আশাবাদের সৃষ্টি হবে এবং এই পদে চাকরির জন্য নিজ যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চেষ্টা করার সুযোগ পাবে সবাই।
জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ বিশেষভাবে তৎপরতা এবং সতর্কতা প্রদর্শনের একটি প্রতীক হয়ে থাকবে। নিয়োগের জন্য কাউকে তদবির বা আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ প্রশাসন প্রতারণার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি প্রার্থীকে কোনরকম তদবির না করার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র নিয়োগপ্রার্থীদের জন্য নয়, বরং সাধারণ মানুষের জন্যও স্বস্তিদায়ক বার্তা বহন করছে। জনগণের সুরক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনীকে একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা হচ্ছে এই উদ্যোগ। পুলিশের স্বচ্ছতা এবং নিষ্ঠাবান প্রয়াস সাতক্ষীরার জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বাড়াবে এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় এই প্রচেষ্টাকে সফল করে তুলবে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজে সেবা ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। এ ধরণের সচেতনতা ও সততার মূল্যবোধ আমাদের সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে, যেখানে যোগ্য ব্যক্তিরাই তাদের মেধা এবং সেবার মানসিকতা দিয়ে দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকবে।