জ র জিম
এক’টি স্নিগ্ধ সকাল ফিরে আসে
নিগৃঢ় রাত্রির তমসাঘোর কপাট খুলে।
কথিত আলোক কারও কাছে আলোক,
কারও কাছে অমানিশার ছলে জড়িয়ে, জীবন জঞ্জালে।
রাতের পরে যেখানে রাত্রিই থাকে দিবসের কপোলে,
সে তো দিন নয়, দুর্দিন; ক্ষিতির আবডালে।
তন্দ্রার গভীরে নিখোঁজ হওয়া স্বপ্নগুলো,
গুম হয়ে যায় নিমিষে, এক পলকে।
চেনা পথের সুরুঙ্গে জীবন’টা ছুটে চলে দিগ্বিদিকে
তবুও সে পথ ফিরেনাকো আর জীবন দুয়ারে,
হারিয়ে যায় বিমল স্বপ্নগুলো,
গিলে খাওয়া তিমিরের খোয়ারে।
যেই স্বপ্ন রঙ বদলায় দিনের আলোতে,
তৃষ্ণার্ত রাতের গভীরে অভিসার ঘটায়
ছলনার কৈলাস প্রপাতে,
অন্য আলোয় মিশে হয় একাকার, দিনের শেষে ;
সেই স্বপ্ন আঁধারের বুক চিড়ে
খাবি খায় নির্মোঘ আঁধারের-ই ভীড়ে।
ভোরের সূর্য্য যদি ভোরের আগেই হয়ে যায় লোপাট,
সে সূর্য্যে কিভাবে খুলবে অমোঘ চন্দ্রের কোপাট ?
এ তো আলোকের মাঝে আলোকেরই লুটপাট।
এভাবেই স্বপ্ন খানিকটা বাঁচে, খানিকটা মরে
হৃদয়ে হৃদয়ে প্রতিটি দুয়ারে।
এক আলোয় ভোর হয় সুষমার স্বপ্নীল নেত্রে,
অন্য আলো ডুবে যায়, নিকষ কালো রাত্রির গাত্রে।
গগনের জঞ্জালে নিরদ শূন্য ডালে, কালে কালে
নিত্য চন্দ্রের নিরন্তর ঝোলা, নির্মোক নিয়তির বিদীর্ণ চোয়ালে।
এক স্বপ্নের মাঝে আরেক স্বপ্ন ফাঁদে,
নীরবে দোদুল্যমান, ঐ সুদূরে মহাশূন্যের মোহজালে
এক-ই পৃথিবীর এক-ই ছাদে, এক চন্দ্র হাসে আরেকটি কাঁদে।