• আজ- শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

আরও সক্ষমতা বাড়ানো দরকার ফায়ার সার্ভিসের

লেখক : / ১৫২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

add 1

দেশে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বাড়াতে বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোনো বিপর্যয়কর ঘটনায় ভরসা হিসেবে বিবেচিত হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে শিল্পায়ন হয়েছে আগের ২০ বা ৩০ বছরের চেয়ে বেশি। একের পর এক বহুতল ভবনও তৈরি হয়েছে। বেড়েছে জাতীয় অর্থনীতির পরিসর। অথচ, এ সময়ে যৌক্তিক কারণেই ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও বাড়েনি লোকবল। বাড়েনি কেমিক্যাল আগুন নেভানোর সক্ষমতা। বড় কোনো দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা এখনও গড়ে ওঠেনি ফায়ার সার্ভিসের। কোনো বড় বিপর্যয় বিশেষ করে ভূমিকম্প বা অগ্নিকাণ্ডের পর ভবন ধ্বসের মতো ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। তাই জনবল বাড়ানো ও তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতির ওপর জোর দিতে হবে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে। একটি ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করার মতো কারিগরি কিংবা প্রকৌশলগত যে জ্ঞান বা দক্ষতা প্রয়োজন, সেই সক্ষমতা এখনও ফায়ার সার্ভিসের গড়ে ওঠেনি। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আর কোনো ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করে থাকে সিটি করপোরেশন। আর বিভিন্ন শহরে ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রকৌশলগত সহায়তাও দিয়ে থাকে এই সংস্থা। যদিও কোনো ঘটনা ঘটলে সমন্বয়হীনতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশে এখন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সংখ্যা ৪৯৩টি। পানিবাহী গাড়ির সংখ্যা রয়েছে ৬১৭টি। পাম্প টানা গাড়ি বা টোয়িং ভেহিক্যাল রয়েছে ১৩২২টি। ফায়ার পাম্প ১ হাজার ৩৭০টি। অ্যাম্বুলেন্স ১৯২টি। উঁচু মইয়ের সংখ্যা ২৪টি। ফোম কেমিক্যাল হ্যাজমেট ও ব্রিদিং টেন্ডার ড্রোন ৩৫টি। উঁচু ভবনে কাজ করার সক্ষমতা বলতে ২৪ তলা ভবনে কাজ করতে সক্ষম পাঁচটি টিটিএল মেশিন রয়েছে। ১৪ হাজার ৪৪৩ জন জনবল নিয়ে দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গড়ে ১৬ হাজার। ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর (ইএসএসএবি) এক তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর আগুনে মারা যায় ২৩৩ জন, আহত হয় প্রায় পাঁচ হাজার। এ ছাড়া প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত হচ্ছে। সচেতনতার অভাব এবং অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ নিলেও তা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি। সুতরাং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, বিড়ি-সিগারেট বা মশার কয়েলের আগুন সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে হবে। বিশেষ করে ঘনবসতি এলাকা, বস্তি, শিল্প-কলকারখানায় নিয়মিত মহড়া ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT