আমি পারি দিবো উতলা নদী
পড়িয়া রহিবো কূলে,
হয়তো বা মোর রতন শস্য ভাসিবে সোনার জলে।
সেদিন শত মৎস্য করিবে গল্প মোর-
একখানা শিক্ষাতেই রয়ে গেলো বেচারা চিরো কুমার,
রয়ে গেলো চিরো ওমর।
জনে জনে জানিতে চাহিবে মোর শিক্ষা খানি,
আবার বহু জনে জানিবে নবীন রূপে মোর ওমর সে গল্পখানি-
সে দেখিয়াছিলো এক বিদ্যাহীন প্রমদার সংসার ;
সেতো সংসার নাহি ছিলো, ছিলো যেনো তৃষ্ণাত্বক কাকের হাহাকার।
সে সংসার যেনো ছিলো মরুভূমির অসহ্য বেদনা,
সে সংসার ছিলো বৃদ্ধ কল্পের চিরো দিনের কান্না।
নব যৌবনের তাজা প্রাণে জাগিয়াছিলো তাজা প্রেম,
বেশি দিন হয়নি তাতেই ঘরে উঠে প্রয়সী শ্যাম।
মাসেক খানিক প্রতি ডালে ফুটিলো তাজা ফুল
পর মূহুর্তেই ঝরে যায় যতো ফুল, ঝরে যায় যতো সুখ ;
ভেসে আসে যতো ভুল।
একেকখানা ভুল যেনো ব্যাখ্যা বহির্ভূত,
প্রমদা তরুর বিবেকে কল্প মহাখাত।
অসহ্য করিয়া সহ্য কল্পের বহুদিন পারি,
আর কতো কাল!
একে একে বহিঃপ্রকাশ কল্প আস্যের বিরক্তিকর বাণী,
বহিঃপ্রকাশ কল্প আস্যে তরুর তরে কুমন্ত্র ভুরি ভুরি।
বহু দিন বহু বছর পারি দিলো সে,
সমুদ্রের ভারী ঢেউ পারি দিয়ে সে নির্বাক হলো এক নিস্তব্ধ কূলেতে এসে।
এ কূলে নাই সে তরু,
তাও যেনো মূহুর্তেই মারে শত কুমন্ত্রের ঢিল ঐ কূলের কল্প বুড়ো।
এ গল্পে পাহিয়াছে কবি মহাশিক্ষা।
তাই তো জনম জোরে করিয়াছে প্রণয়ের ভিক্ষা,
বিদ্যাহীনের প্রেমে উতলা হইয়াও রহিয়াছে চিরো কুমার।