প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ২:১১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৪, ২০২৩, ২:০২ অপরাহ্ণ
আজ আমি মুক্ত
জীবন থেকে চলে গেছে আরেকটি বছর, আরেকটি দিন, আরেকটি তারিখ এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। অগ্রসর হচ্ছি জীবনের কঠিন মূহুর্তের মুখোমুখি। যতই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি মনে হচ্ছে দিনগুলো তত কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পেছনে থাকা দিন গুলোকে অনেক মিস করছি। সময় যত দূরে সরে যাচ্ছে মনে হচ্ছে ধিরে ধিরে আপন মানুষ গুলো মধ্যেই দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ঠিক তেমনি এক সময় বাবা মা আমাদের লালন পালন করে মায়া ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছে । এক সময় মায়ের আঁচলে তলে সবদা ডেকে রাখাত। যখন একটু কথা বলা বা বুঝার বয়স হলো তখন বাবার হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যেতো ঠিক তখন থেকে পৃথিবীতে সবচেয়ে কাছের মানুষ বাবা, মা তাদের থেকে শুরু হয় দুরত্ব। একটা সময় আসে ঠিক মত কাছে বসে একসাথে খাবারের টেবিলে বসার সুযোগ থাকে না। এরপর স্কুল জীবনে পরিচয় হয় নতুন বন্ধু নতুন সাথি। দেখতে দেখতে স্কুল জীবন শেষ হয়ে যায়। এর পর শুরু হয় কলেজ জীবন মনে পরে স্কুল জীবনে বন্ধুদের কথা এভাবে জীবনে প্রিয় মানুষ গুলো ধাপে ধাপে হারিয়ে যাচ্ছে। এই হারিয়ে ফেলার মাঝখান থেকে ঠিকে আছি শুধু আমি। আর সবাই আমাকে একা রেখে দূরে সরে যাচ্ছে। একটু বুঝার ও সুযোগ দিচ্ছে না। আগাম বার্তা জানান দিচ্ছে যে পৃথিবীতে একটা সময় কেউ তোমার পাশে থাকবেন না একে একে এভাবে সবাই আপন সেজে পর করে দূরে সরে যাবে।
যেমন মা বাবা পৃথিবীর আপন মানুষ। আপন বলতে তাদের মধ্যেমে আমরা পৃথিবীতে আসেছি প্রথম মত প্রতিটি বাবা মা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরের বুকের মাঝে সবদা আগলে রাখেন। একটা সময় পর শিশু টি কে হাঁটার জন্য উৎসাহ প্রধান করা হয়। প্রথমে হাতে ধরে হাঁটা দেখায় পরবর্তীতে শিশু টি নিজে নিজে চেষ্টা করতে থাকে। এক দিন সে সফল হয়। এর পর শিশু টি কে শিখিয়ে দিতে হয় না কোথায় কিভাবে হাঁটতে হবে।
ঠিক তেমনি একটা সময় সবাই আপন সেজে কাছে আসে। পৃথিবীতে কিভাবে চলতে হবে শিখিয়ে দূরে সরে যায়। এর পর নিজ চেষ্টা এক সময় সফল হয় অনেক পরিশ্রমের পর। এই ভাবে চলতে থাকে আর জীবন নামক পথ শেষ হতে থাকে। পথের সাথে সাথে আপন নাম মানুষ গুলো দূরত্ব বাড়তে থাকে। একটা সময় তার পথ চলা শেষ হয়ে যায় সে বুঝতে পারে না কখন যে শেষ হলো। হঠাৎ বিশ্রামে চলে যায় পৃথিবীর ব্যস্তুতা থেকে। আজ সে " মুক্ত" তার মুক্তির শুনে সবাই কাছে আসে সব আপন জন গুলো। সে দিন আর দূরত্ব থাকে না। সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্তত থাকে। তার জন্য সুন্দর একটি ঘর তৈরি করে। যা পৃথিবীর রাজ মহল থেকে আলাদা। এক ভিন্ন রকম ঘর সে ডুকার সবার অনুমতি নাই। একমাত্র তারা ডুকতে পারে যারা মুক্ত এই পৃথিবীর ব্যস্তুতা থেকে।
অন্য দিকে ঘর তৈরি সাথে সাথে তাকে ও সাজানো পরিকল্পনা চলে আপন জনে নারা মিলে। তার সাজের ব্যাপর টাও ভিন্ন এমন সাজ যা কেউ কখনো সাজে না একমাত্র তারাই সাজে যারা এই পৃথিবীর ব্যস্তুতা থেকে" মুক্ত "। অবশেষে তাকে সাজানোর কাজ সম্পূর্ণ হলে তাকে এক নজর দেখার জন্য উপস্থিত হয় সবাই। এমন একটা সময় ছিল যে প্রিয় মানুষ গুলো অনেক দূরে ছিল আজ সে প্রিয় মানুষ গুলো কে কাছে পেয়ে অনেক খুশি সে"মুক্তি" পাওয়া মানুষ টা। কিন্তু দু:খ জনক বিষয় কাছের মানুষ গুলো সাথে কথা বলা আজ সে শক্তি নাই। আজ হচ্ছে সে মানুষ গুলো বলবে আর সে মুক্তি পাওয়া মানুষ টা শুনবে। অবশেষে কথা বার্তা এবং সে মুক্তি পাওয়া মানুষের গুনগান করে সবাই মিলে তার রাজমহলে রেখে আসার সিধান্ত নেয়। সবাই মিলে একটা সময় নিধারণ করে যে কত টা সময় তাকে তার নিজ আপন মহলে রাখা হবে। যে যেখানে থাকো না কেন তাকে শুভেচ্ছা জানানো জন্য উপস্থিত থাকে হবে। অবশেষে সে সময় অনুযায়ী তাকে প্রবেশ করানো হয়। প্রথমে তার রাজ মহলে তিন জন প্রবেশ করে তাকে সহ চার জন সে তিন জন মানুষ এত কাছে যে আর কখনো সে মুক্তি পাওয়া মানুষের কাছে হয়নি আর কখনো হবেও না। পরবর্তী একজন একজন করে তাকে বিদায় জানিয়ে চলে আসে। এর পর সে মুক্তি পাওয়া মানুষ টা ভাবে পৃথিবীতে কাছের এবং আপন বলতে কেউ ছিল না। আমার আমি ছিলাম আপন এবং আমার রাজে এখন আমি রাজা। আজ আমি মুক্ত...
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আব্দুর রহমান
লেখা পাঠানোর ইমেইল: sahityapata24@gmail.com