ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। বাণিজ্যের আড়ালে এই অর্থ পাচার হয়েছে, যা দেশে ফেরানো সম্ভব তবে সময়সাপেক্ষ। গতকাল ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচারের কথা বললেও প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে প্রভাবশালীরা অর্থ পাচারে যুক্ত ছিল। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আইনি চুক্তি ও সমঝোতার প্রয়োজন হবে। তিনি জানান, অর্থপাচার ও দুর্নীতি বন্ধ করতে রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতির পরিবর্তন জরুরি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অর্থপাচার বন্ধে রাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে অর্থ ফেরত আসলে সেটি বড় অর্জন হবে। তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালীরা ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি তৈরি করেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সেই নীতি বাস্তবায়ন করেছে। ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়েস্ট সিডনি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ।