ঈদের তাকবির: রমজান ও কোরবানির ঈদের সময় তাকবির বলা। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করো এবং তিনি তোমাদের যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
সফরে তাকবির বলা: রাসুল (সা.) যখন বাহনে আরোহণ করতেন, তখন তিনি আল্লাহু আকবার বলতেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কোথাও সফরের উদ্দেশে তাঁর উটে আরোহণের সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩১৬৬)
পশু জবাইয়ের সময় : কোনো প্রাণী জবাইয়ের সময় তাকবির বলা। আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) দুই শিংবিশিষ্ট সাদা-কালো ধুসর রঙের দুটি দুম্বা স্বহস্তে জবাই করেন। (জবাই করার সময়) তিনি ‘বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার’ বলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৯৮১)
আগুন নেভাতে: কোথাও যদি কোনো আগুন লেগে যায় তখন সজোরে আল্লাহু আকবার বলা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো জায়গায় আগুন লেগে গেছে দেখো, তখন ‘আল্লাহ আকবার’ বলতে থাকো। কেননা তাকবির আগুন নেভাতে সহায়ক হয়।’ (আমালুল ইওয়ামি ওয়াল লাইলি, হাদিস: ২৮৯)
তাকবিরের খোলে আসমানের দুয়ার : একবার রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ আদায়কালে এক ব্যক্তি বলে উঠল, ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা ওয়াল হামদুলিল্লাহ কাসিরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসিলা’ (অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে বড়। সব প্রশংসা আল্লাহর। আর সকাল ও সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা বর্ণনা করতে হবে)। নামাজ শেষে রাসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, এ কথাগুলো কে বলল? সবার মধ্যে থেকে জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ওই কথাগুলো বলেছি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, কথাগুলো আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ কথাগুলোর জন্য আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১২৪৫)