সকালে ঘুম থেকে উঠে অহনা আম্মু বলে ডাকতে লাগলো
কোথায় তুমি আম্মু?
এত ভোরে কেন উঠেছো মামণি? শীতের মধ্যে আর একটু পরে উঠবে মামণি।
আম্মু রানু কেন এত ভোরে উঠে?
মামণি, রানুর কাজই ভোরে উঠে সব কাজ করা।
আম্মু আমিও রানুর মত ভোরের পাখি হয়ে কাজ করতে চাই।
ছি মামণি তুমি কেন কাজ করবে? রানু একা সব কাজ করে তাই আমি ওকে সাহায্য করতে চাই, আম্মু, ওর কত কষ্ট হয় সারাদিন। রানুর যদি তোমার মত আম্মু থাকতো,তাহলে আর ওকে দিয়ে এত কাজ করাতো না ঠিক তোমার মত।যেমন আমায় তুমি কিছু করতে দাও না। মামণি ওদের জীবনটাই এমন পরের বাসায় কাজ করে দিন কাটে, বাদ দাও না ওর কথা।
কেন আম্মু তুমি কি রানুর আম্মু হতে পারনা? কথা দাও আজ থেকে তুমি রানুর আম্মু হবে,আর আমাদের দুজনকে এক সাথে স্কুলে নিয়ে যাবে খাইয়ে দেবে কোন কাজ করাবে না। ঠিক আছে মামণি তোমার কথাই সঠিক তোমরা দুজনে আজ থেকে আমার দুইটি পাখি। অহনার আম্মু ভাবে ঠিকই তো বলেছে আমার মেয়ে আমি যদি রানুর মা হয়ে রানুর পাশে দাঁড়াই তবে সব চেয়ে বেশি খুশি হবে রানু।
মায়ের স্নেহ পাইনি মেয়েটি আমি ওকে মায়ের স্নেহ আদরে আগলে রাখবো,কথা গুলো শুনে রানুর চোখে জল চলে আসল রানু বলে উঠল মাগো আমি তোমার পায়ের তলায় ঠাঁই পেলেই খুশি আর কিচ্ছু চাইনা।
অহনার মায়ের চোখ ছলছল করছে আর ভাবছে এই কথা গুলো শুনেই রানু এত খুশি হয়েছে আর এই খুশি দেখে অহনার চোখে মুখে পরিতৃপ্তির ছাপ ভেসে উঠেছে। অহনার মায়ের বুকের ভেতর এক অদ্ভুদ সুখের পরশ ছুঁয়ে যাচ্ছে এমন সুখ কখনো পাইনি। ছয় বছরের অহনা আজ বুঝিয়ে দিল সুখ কাকে বলে মানবতায় পরম সুখ।