দুপুর বেলা গ্রামের ছেলে
করতে গোসল যায় নদীতে
সূর্য তখন মাথার ওপর
ইচ্ছেমতন আগুন ঢালে
মগড়া নদীর দুটি পাড়ে
জায়গা মেলা ঘাসের খেলা
মাঝনদীতে অল্প পানি
যাচ্ছে বয়ে স্রোতের টানে
বোশেখ মাসেও পানির খরা
নদীর পাড়ে সেই ছেলেটি
রোদের তাপে নেয় জিরিয়ে
অলস দুপুর ক্লান্ত দেহ
গরম রোদেও লাগে ভালো
সূর্যটাকে পিঠ দেখিয়ে
বসে থাকে অনেক সময়
ঠিক তখনি নাকে আসে
কেমন জানি বোঁটকা বাতাস
বিশ্রী ঘ্রাণে নাক জ্বলে যায়
রোদের তাপে পিঠ জ্বলে যায়
অতশত ভাবে নাতো
ভাবে শুধু নামতে হবে
ঊরু সমান নদীর জলে
নামার পরে কিছু দূরে
কিসে যেন আটকে দু চোখ
বুঝতে পারে মৃত কিছু
আটকে আছে বাঁশের খুঁটে
ঠিক তখনি একটা লগি
যাচ্ছে ভেসে নদীর জলে
গ্রামের ছেলে সেই লগিটা
হাতে নিয়ে যায় এগিয়ে
কাছে গিয়ে দেখে সে যে
এটা একটা মৃত বিড়াল
গায়ে অনেক আঘাত আছে
পানি খেয়ে বল হয়েছে
সেই বিড়ালের পঁচা থেকেই
বাতাস পঁচা ঘ্রাণ ছড়িয়ে
যাচ্ছে নিয়ে দূর থেকে দূর
সেই লগিতে আটকে বিড়াল
নিয়ে এলো নদীর চরে
বাড়ি গিয়ে আনলো কোদাল
মাটি খুঁড়ে গর্ত করে
গর্তে বিড়াল করলো দাফন
ঠিক এভাবেই গ্রামের ছেলে
মা ও মাটির এতো আপন।