• আজ- বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ অপরাহ্ন

ড. ইউনূসের সরকার: ধীর গতিতে সংস্কার, দ্রুত গতিতে সমালোচনা

লেখক : / ৬২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

add 1

বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট এক উত্তাল সময়ে প্রবেশ করেছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই নতুন সরকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করতে বদ্ধপরিকর, তবে তাদের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে অনেক প্রশ্ন ও সমালোচনা উঠেছে।

ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলাফল অসামান্য। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে এর মানে কি বাংলাদেশে এক বিপ্লব ঘটেছে? নাকি এটা ছিল শুধু ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলন? বর্তমান সরকার গণঅভ্যুত্থান থেকে এসেছে, কিন্তু তারা বিপ্লবী সরকার নয়। তারা নিজেদের সংস্কারবাদী হিসেবে দেখাচ্ছেন, যেখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের জন্য তারা ধীরে ধীরে কাজ করছেন। এ কারণেই হয়তো সমালোচনা উঠছে—তাদের কার্যক্রম ধীরগতির, যা অনেকের আশানুরূপ নয়।

যদিও বর্তমান সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে কাজ করছে, তবে তাদের পথচলা সহজ নয়। ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রেতাত্মারা দেশে ও বিদেশে এখনো সক্রিয়, এবং বামপন্থী তাত্ত্বিকেরা নানা বিতর্ক সৃষ্টি করে সরকারের কার্যক্রমে বাধা দিতে চাচ্ছে। এই প্রতিকূল পরিবেশে ড. ইউনূস স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তাদের কাজ ভুল হলে তারা তা শুধরে নেবেন এবং একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটবেন না। এই মনোভাব গণতন্ত্রের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ।

প্রশ্ন হলো, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতটা সময় পাবে? ছাত্র-জনতা এবং জনগণ কি ধৈর্য ধরে সংস্কারের এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করবে? একদিকে জনগণের উচ্চ প্রত্যাশা, অন্যদিকে সরকারের সীমাবদ্ধতা—এই দ্বৈত চাপে সরকারকে টিকে থাকতে হবে এবং তাদের প্রতিশ্রুত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎকে স্থিতিশীল করতে হবে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থা স্পষ্ট: ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হয়েছে, কিন্তু সঠিক পরিবর্তনের জন্য যে ধৈর্য, ঐক্য ও সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ দরকার, তা অর্জিত হয়নি। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে তাদের রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করতে দিতে হবে। তবে একথাও সত্য যে, সরকারকে আরও গতিশীল হতে হবে। জনগণের দাবিগুলোকে উপেক্ষা করা তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

ফলে, দেশের জনগণ, ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে যে, বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করা। তাদের পথচলায় যে প্রতিকূলতা ও সমালোচনা রয়েছে, তা মোকাবিলা করে ধীরে ধীরে একটি সুষ্ঠু রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ৯:১২)
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬
  • ১১ পৌষ, ১৪৩১ (শীতকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT