মানুষ প্রতিদিন কত কি খাই, কিন্তু একটু চিন্তা করুন ‘সময়’ যে আমাদের হায়াত বা জীবন নামক আয়ু খাচ্ছে এই কথা কি মাথা আছে..! জীবনের প্রতি সেকেন্ড আমার জন্য মূল্যবান।একবার কি চিন্তা করেছেন আজ পযন্ত..!? কোথায় ছিলেন, কোথায় আছেন, আবার কোথায় যাবে,। ছোট একটি বিন্দু মাএ পানির ফোটা থেকে আপনি সৃষ্টি। আজ বৃহৎ আকারে একটা মানুষ । আচ্ছা কে আপনাকে এত বড় করেছে..? নাকি আপনি নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছেন..! আর কেন বা আপনাকে সৃষ্টি করছে এই কথা গুলো আজ পযন্ত একবার ভেবে দেখেন জনাব। এর পেছনে তো অবশ্যই একটা উদ্দেশ্য আছে। আপনাকে বা আমাকে যিনি সৃষ্টি করছেন তিনি হচ্ছে আমাদের “রব “। রব হচ্ছে সে যিনি আমাদের ভালো মন্দ দিক বিবেচনা করছেন। বর হচ্ছে সে যিনি আমাদের ছোট বিন্দু মাএ পানি থেকে আজ বৃহৎ একটা শরীর রূপ দিয়েছে। ওনার অনুমতি ক্রমে আমাদের জীবন পরিচালিত হচ্ছে। ওনি আপনার প্রতিটি মূহুর্তে আপনার দিক পরিবর্তন করছেন। এর পেছনে প্রধান একটা উদ্দেশ্য আছে সেটা হচ্ছে তাহার অনুগত করা তিনি যে দিক নিদর্শন দিয়েছেন তা মেনে চলা । আমাদের জন্য এই পৃথিবীতে কত কি নাজ নিয়ামতের ব্যবস্থা করেছেন। তবে একটা সময় আমাদের জন্য নিধারণ করে দিয়েছে। সে সময়ে মাঝে তাকে খুশি করে এবং পৃথিবীর থেকে মূল্যবান জিনিস গুলো নিয়ে তার হুকুম মুতাবেক তার কাছে আবার উপস্থিত হতে হবে।
উদাহরণ সরূপ একটি দোকানে মালিক একটা কর্ম চারি নিয়োগ দিলেন। তখন মালিক প্রথম অবস্থা কর্মচারিকে বলো তোমাকে ছোট একটা কাজ দিচ্ছি..!
– কর্মচারি বলো কি..?
-দোকানের মালিক বলো কাজ হচ্ছে এই দোকান সবচেয়ে সুন্দর কিছু মূল্যবান জিনিস আছে সে জিনিস গুলো যদি আমার হাতে এনে দিতে পারো তাহলে তোমার বেতন ভালো মানের ধরা হবে আর যদি না আনতে পারো তাহলে সবচেয়ে নিম্ন মানের ধরা হবো। তবে হে যে পর্থ একবার অতিক্রম করবে পূর্ণ রায় আর ফিরে আসতে পারবে না..!
-সে কথা অনুযায়ী কর্মচারি রাজি হলো এবং একটা থলে হতে ধরিয়ে দিলো
-দোকানে মালিক বলো যাও এই থলে টা বর্তি করে নিয়ে আসো
-কর্ম চারি তখন দোকানে মূল্যবান জনিস গুলো খুঁজার চেষ্টা করতে লাগলো কর্মচারি একটা জিনিস লক্ষ্য করলো যত সমনে যায় জিনিস গুলো সুন্দর ও মূল্যবান মনে হয়। মনে মনে ভাবছে সামনে মনে হয় আরো ভালো জিনিস আছে এই কথা ভেবে তার হাতে থাকা থলে তে কিছু রাখছে না। অবশেষে দোকানে শেষ প্রান্তরে এসে দেখে তার হাতে থাকা থলে টি শূন্য…!
অবশেষে কর্মচারি তার মালিকের কাছে শূন্য হাতে উপস্থিত হয় এবং মালিক রেজাল্ট ঘোষণা করা আগে কর্ম চারি মনে জানা হয়ে গেছে তার রেজাল্ট শূন্য তার আর এখানে কিছুই বলার নাই…!
এখন মালিক যা ঘোষণা দিবে তা মাথা পেতে নিতে হবে।
উপদেশ: পৃথিবীতে আমাদের সৃষ্টিকতা আমাদেরকে কর্মচারি মত নিয়োগ দিয়েছে, সাথে দিয়েছে একটা নেক আমলের থলে। এর সাথে সৃষ্টিকতা বলেছে পৃথিবীর মাঝ খান থেকে কিছু মূলবান আমল খুঁজে তার কাছে উপস্থিত হতে। অনেক আছে যারা বলে আমার তো এখনো বয়স হয়নি আরও বয়স হক তার পর ইবাদত বন্দিগী করে ওনাকে খুশি করে দিবো ঠিক যেমন কর্মচারি দোকানে যত সামনে যার ভালো ভালো জিনিস দেখে আরো ভালো জিনিস নিবে ভাবছে তার মত। কিন্তু এটা ভুলে গেছে যে পূর্ণ রায় তো ঐ জায়গা আসা যাবে না বা এই সময়ে । একটা সময় দেখা যায় সে জীবনে শেষ প্রান্তে। ঠিক যেমন কর্মচারি দোকানে শেষ প্রান্তে এসে দেখে তার হাতে থাকা থলে শূন্য সে রকম..! তাই প্রতিটি মানুষের উচিত জীবনে আপনি যে প্রান্তে থাকুক না কেন যত টুকু সম্ভব প্রভু হুকুম গুলো মেনে চলুন। হয়তো এই হুকুম গুলো মানার কারণে এগুলো আপনার নাজাতের কারণ হবে এবং শেষ স্থান হবে আপনার জান্নাত।